Abhishek Banerjee attacks Governor CV Ananda Bose on molestation Case

Abhishek Banerjee: মেয়ের বয়সি মেয়েকে শ্লীলতাহানি! এত নীচে কোনও রাজ্যপালকে নামতে দেখিনি: অভিষেক

গত ২ মে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ওই মহিলা। এরপরই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার আলিপুরে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় বিষয়টি নিয়ে আর এবার তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক বলেন, “ক্ষমতা থাকলে রাজ্যপাল নিজের চেম্বারের ছবি দেখান। সেখানে উনি মেয়ের বয়সি মেয়ের সঙ্গে কী আচরণ করেছিলেন? তাহলেই তো সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে!” এরপরই তাচ্ছিল্যের সুরে অভিষেক বলেন, “রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনকড়কে দেখেছিলাম। কিন্তু নিজের মেয়ের বয়সি মেয়েকে চাকরির টোপে শ্লীলতাহানি করছেন! এত নীচে কোনও রাজ্যপালকে নামতে দেখিনি। উনি শুধু নিজেকে অসম্মানিত করেননি, রাজ্যপালের চেয়ারের গরিমাকেও নষ্ট করেছেন।”

এখানেই না থেমে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য রাজ্যের শীর্ষ আদালতে যাওয়া উচিত বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। সংবিধান যাঁরা তৈরি করেছিলেন, তাঁরাও কল্পনা করেননি এরকম কোনও রাজ্যপাল হতে পারেন। সেকারণেই সংবিধানে রাজ্যপালদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। আর সেই সুরক্ষাকে কাজে লাগিয়ে উনি শ্লীলতাহানি করবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আইনি পথেই এর বিচার জরুরি।”

রাজভবনের মহিলা কর্মীর ‘শ্লীলতাহানি’কাণ্ডে বৃহস্পতিবার রাজভবনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর আয়োজন করেছিলেন বোস। শুক্রবার তাকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক। রাজ্যপালের উদ্দেশে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, ‘‘বাইরের ফুটেজ দেখিয়ে কী হবে? ক্ষমতা থাকলে রাজ্যপাল তাঁর করিডর, চেম্বারের ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আনুন। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ ওঠে, আমি যদি তা খারিজ করতে ভিডিয়ো দেখাই, তা হলে তো সমস্ত ফুটেজ দেখাব। চেম্বার, সিঁড়ি, করিডর— সব জায়গার ভিডিয়ো দেখানোর কথা। কিন্তু রাজ্যপাল শুধু বাইরের ভিডিয়ো প্রাকাশ্যে এনেছেন। এ তো পুরো নাটক।’’ অভিষেক মনে করেন, সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত।

এদিন অভিষেকের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব ছিল তৃণমূলে। সকাল থেকেই তাঁর বাড়ি সামনে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ি থেকে বার হন অভিষেক। পরনে ছিল সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট। হেঁটে হাত নাড়তে নাড়তে আলিপুর ট্রেজরি বিল্ডিংয়ে পৌঁছন অভিষেক। অভিষেকের মনোনয়ন-মিছিলের সামনের সারিতে ছিলেন সওকত মোল্লা, অশোক দেবরা। কর্মী-সমর্থকেরাও ছিলেন শুক্রবারের মিছিলে। শুধু তা-ই নয় উৎসাহী জনতাও রাস্তার দু’ধারে ভিড় করেছিলেন।