২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার ওই নির্দেশ দিয়ে জানান, প্রাথমিকে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সম্পূর্ণ বেআইনি। সেই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে সোমবারই বিকেল ৫ টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজির হতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরা না দিলে সিবিআইকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছে আদালত। ওই দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেও তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ভরসন্ধেয় ভবানীপুরে জোড়া খুন, বাড়ি থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাক্ত দেহ
মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৪ প্রাথমিক টেটে ২৬৯ জনকে অতিরিক্ত ১ নম্বর করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কেন তারা এই অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছে তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সংসদের আধিকারিকরা। বিচারপতি আদালতে প্রশ্ন করেন, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বেছে বেছে এই ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বেশি দেওয়া হল কেন? এর পরই ওই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তারা যেন স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবারের শুনানির পর ন্যাশনাল ইনফরমেটিভ সেন্টার (এনআইসি)-কে এই মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, নথি সংগ্রহের নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, সংগৃহীত তথ্য নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। এনআইসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হল সিবিআইকে।
আরও পড়ুন: Alipore Zoo: খাঁচা থেকে বেরিয়ে পড়ল শিম্পাঞ্জি, সরগরম আলিপুর চিড়িয়াখানা