সারদা কাণ্ডে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই। তদন্তকারী গোয়ন্দা সংস্থার দাবি, রাজীব কুমার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরের ১ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন রাজীব কুমার।
CBI সূত্রে খবর, মোট ২৭২ পাতার আবেদন করা হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে রাজীব কুমারকে (Rajeev Kumar) জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সারদাকাণ্ডে নয়া টুইস্ট ! ‘বিস্ফোরক ২১ পাতার চিঠি’ দিলেন সুদীপ্ত সেন
উল্লেখ করা হয়েছে যে ইডি-কে দেওয়া বয়ানে সুদীপ্ত সেন ও কুণাল ঘোষ, দুজনেই রাজীব কুমারের নাম করেছিল। তাই সারদা তদন্তে প্রাক্তন পুলিস কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার পুরনো মামলার ফের শুনানি চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।
আর মাত্র কয়েকমাস পরেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সারদা নিয়ে ফের তরজা জড়িয়েছে তৃণমূল -বিজেপি দুপক্ষই। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষও। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছিলেন তিনি।
পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নভেম্বর মাসে তিনি টুইটে লেখেন, কুণাল ঘোষ, দুর্নীতিতে কলঙ্কিত তৃণমূলের মুখপাত্র, যাঁকে ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য নামানো হয়েছে।
সারদা তদন্তে (Saradha Case) গঠিত সিট-এর দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য, নথি লোপাটের অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসে তত্কালীন কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতারির উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁর বাসভবনে হানা দেয় সিবিআই (CBI)।
সেদিন কলকাতা পুলিসের সঙ্গে সিবিআই অফিসারদের কার্যত ধস্তাধস্তি হয়। যদিও সেদিন রাজীব কুমারকে না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে আসে সিবিআই। রাজ্য রাজনীতিতে এই ঘটনার জল বহুদূর গড়ায়।
আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: দলিত মেয়ের সঙ্গে পিজা খেতে গিয়ে বিপত্তি, জেল খাটছে শাকিব