তৃতীয় তৃণমূল সরকারের প্রথম বাজেট পেশের পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ আনলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রীতিমতো হিসাব কষে বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রের কাছ থেকে কত টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে কেন্দ্র।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে রাজ্যের ভবিষ্যত পরিকল্পনা, বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে কোভিড টিকা, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি-সহ রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, “রাজ্যকে ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত করেছে কেন্দ্র। এখনও ৩৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা পাই। এত বঞ্চনার পরও রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “যশের ক্ষতিপূরণও মেলেনি। রাজ্যকে বঞ্চনা করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন : দিল্লির নেতৃত্বকে ভুল বোঝাচ্ছেন শুভেন্দু, বিস্ফোরক সৌমিত্র
অসুস্থ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাই বাজেট পড়ছেন শিল্প তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
‘তফসিলি জাতি-জনজাতি মহিলাদের বছরে ১২,০০০ টাকার প্রকল্প শুরু শীঘ্রই’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : শীঘ্রই শুরু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। সেই প্রকল্পের আওতায় জেনারেল ক্যাটেগরির পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তফসিলি জাতি ও জনজাতির পরিবারে মাসিক ১,০০০ টাকা দিতে হবে।
গ্রাম এবং শহরে দু’শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি কমেছে : মমতা
গ্রাম এবং শহরে দু’শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি কমেছে।
‘শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করলে হবে’, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে মমতা
মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,লাগাতার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম বাড়ছে। তার জেরে হেঁশেলে আগুন জ্বলছে। শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করলে হবে!
একশো দিনের কাজে দেশে এক নম্বরে বাংলা : মুখ্যমন্ত্রী
কোন প্রকল্পে কত বরাদ্দ, জানালেন মমতা
কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ২,০০০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসাথীতে ১,৯০০ কোটি টাকা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
দেউচা পাচামিতে এক লাখ, রঘুনাথপুরে ২-২.৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে
দেউচা পাচামিতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এক লাখ কাজ হবে। রঘুনাথপুরে ২-২.৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে। ৭২,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে।
বাজেটের বরাদ্দের সামাজিক প্রকল্পে ৫৮.২৬ শতাংশ খরচ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাজেটের বরাদ্দের সামাজিক প্রকল্পে ৫৮.২৬ শতাংশ খরচ।
বাংলা সারা ভারতে এগিয়ে, তাও আমরা বঞ্চিত : মুখ্যমন্ত্রী
যাবতীয় তুলনা করলেও বুঝতে পারবেন যে আমরা কতটা বঞ্চিত। তাও আমরা কত এগিয়ে। কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৭ কমেছে। রাজ্যে ১.২ শতাংশ বেড়েছে। ভারতে রাজস্ব ঘাটতি ৯.৩ শতাংশ। বাংলায় ৩.৮৬ শতাংশ। আমফানে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা।
গত অর্থবর্ষে বরাদ্দ অর্থের ১৪,০০০ কোটি টাকা কম পেয়েছি : মমতা