একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের জ্বলে উঠছে সারদা কাণ্ডের ছাই চাপা আগুন। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন নিজের বয়ান চিঠির আকারে পাঠিয়েছেন আদালতে।
শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের এই মুখপাত্র জানান, তাঁর কাছে সেই চিঠির সার্টিফায়েড কপিও রয়েছে।এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সিবিআই ডিরেক্টরকে।
আরও পড়ুন: বাংলাকে Narendra Modi-র হাতে তুলে দেওয়াটাই তাঁদের আসল লক্ষ্য : শুভেন্দু
কুণাল দাবি করেছেন, সারদাকাণ্ডের সমস্ত ঘটনা এই চিঠিতে লিখেছেন সুদীপ্ত। ২০১৩ সালে সারদা কর্তার যে চিঠিটি সামনে এসেছিল, তা কারা তাঁকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন, কারা তাঁকে বাইরে পাঠিয়েছিল, সেইসবের উল্লেখ রয়েছে। সাফাইয়ের সুরে এই সাংবাদিক রাজনীতিক বলেছেন, সুদীপ্ত সেনের প্রতিটি কথাকে ধ্রুব সত্য না মেনেও, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে বলব।
কুণালের দাবি, দীর্ঘদিন জেলবন্দি থেকে সুদীপ্ত সেন যে বিপর্যস্ত এই চিঠিতে সে কথাই ফুটে উঠেছে। একইসঙ্গে সুদীপ্ত সেন এটাও বুঝেছেন, এই ঘটনায় বহু ষড়যন্ত্রী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি জেল থেকে বসেই প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে আরও একটি চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত। সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল, তাঁর থেকে শুভেন্দু অধিকারী ৬ কোটি, অধীর চৌধুরী ৬ কোটি, বিমান বসু ২ কোটি ও সুজন চক্রবর্তী ৯ কোটি টাকা নিয়েছিলেন।
এদিন কুণাল ঘোষ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, “আমার আইনজীবী অয়নের পর্যবেক্ষণ, সুদীপ্ত সেনের এই চিঠি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এই মামলার মূল চরিত্র। বন্দি অবস্থা হলেও তিনি যখন নিজে হাতে চিঠি লিখে সরকারি পদ্ধতিতে আদালতকে কোনও বয়ান দিচ্ছেন, তার গুরুত্ব যথেষ্ট। তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে এই চিঠিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আরও বিশেষ তাৎপর্যের, ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশ বা তদন্তকারী এজেন্সির খাতায় এমন অনেককে সাক্ষী দেখানো হচ্ছে বা দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধেই মূল অভিযুক্ত সরাসরি অভিযোগ তুলছেন। ফলে এদের ভূমিকাও তদন্ত সাপেক্ষ। আমার কাছে এই মামলা জীবন মরণের লড়াই। মুখের হাসি অটুট রেখে বহু যন্ত্রণা চেপে আমি লড়াই করে যাচ্ছি। এই চিঠির প্রতিটি কথার যথাযথ তদন্ত ছাড়া যেন তদন্ত শেষ না হয়। সব ষড়যন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।”
আরও পড়ুন: ঘুম ভাঙতেই বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাতি, আতঙ্ক মেদিনীপুরে