কৃষক বিক্ষোভের আগুন রাজধানীতে, পুড়ল ট্রাক্টর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কৃষক বিক্ষোভের (Farmers Protest) আঁচে পুড়ছে দিল্লি-সহ গোটা দেশ। সংশোদিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন চাষিরা। সোমবার সকালেই সেই বিক্ষোভের আঁচ এসে পৌঁছয় দিল্লিতে (Delhi)। ইন্ডিয়া গেটের সামনে ট্রাক্টর (Tractor) জ্বালিয়ে দেন তাঁরা। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ আসে। তবে শুধু দিল্লি নয়, উত্তর ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়াণাতে চলছে আন্দোলনে। উত্তাল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকও।

প্রায় দু’বছর আগে একই রকম ছবি দেখেছিল দিল্লি। দিনের পর দিন হেঁটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে পৌঁছেছিল ১০ হাজার কৃষকের আন্দোলন বিক্ষোভ। তখন ছিল দাবি। এ বার প্রতিবাদ।

তিনটি কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন-বিক্ষোভ পৌঁছে গেল রাজধানী দিল্লিতে। সোমবার সকালে এক দল কৃষক ইন্ডিয়া গেটের সামনে একটি ট্রাক্টর জ্বালিয়ে দেন। পরে পুলিশ ও দমকল পৌঁছে আগুন নিভিয়ে সরিয়ে নেয় ট্রাক্টরটি।

আরও পড়ুন : RR vs KXIP: রান তাড়া করে রেকর্ড জয়, আইপিএলে ইতিহাস রাজস্থান রয়্যালসের

রবিবার রাতেই তিনটি কৃষি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাত পোহাতেই রাজধানীতে কৃষক বিক্ষোভ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সওয়া ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জড়ো হন ১৫-২০ জন কৃষকের একটি দল। একটি ট্রাক্টরে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা।

এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনে যোগ দেবেন। এর পাশাপাশি হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশেও চলছে আন্দোলন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, অমৃতসর-দিল্লি রেললাইনের উপর অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাষিরা। পাঞ্জাবে আন্দোলনে নেমেছে এনডিএ-র প্রাক্তন জোট শরিক অকালি দলও। তাঁরা বিরোধীদের একজোট হয়ে প্রতিবাদ দেখানোর ডাক দিয়েছেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও গায়ের জোরে বিল তিনটি পাশ করিয়ে নিয়েছে শাসক দল। তাঁরা ভোটাভুটির দাবি জানালেও ডেপুটি চেয়ারম্যান তাতে কর্ণপাত না করে ধ্বনি ভোটে বিল পাশ করান। রাষ্ট্রপতিকে বিলে সই না করে এই বিল তিনটি সংসদে ফেরত পাঠানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু রবিবার বিলে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তিনটি বিলই (জুন মাসে জারি হওয়া অধ্যাদেশ) আইনে পরিণত হয়েছে। রবিবার প্রথম দু’টি বিল পাশের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ-আন্দোলন।

কর্নাটকে আবার আন্দোলন চলছে রাজ্য বিধানসভায় দু’টি বিল পাশের প্রতিবাদে। শনিবার বিধানসভায় পাশ হয়েছে ‘কৃষি পণ্য বিপণন (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) সংশোধনী বিল’ ও ‘কর্নাটক ভূমি সংস্কার সংশোধনী বিল’। তার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্য জুড়ে বন্‌ধের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এবং রাজ্যের বিরোধী জোট কংগ্রেস-জেডিএস। সকাল থেকেই বন্‌ধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাস্তায় যানবাহন অমিল। খোলেনি দোকানপাট।

যদি বিলটি এতই ভালো হত, তাহলে এতদিনের শরিক শিরোমনি আকালি দল এনডিএ ছেড়ে বের হয়ে আসত না। মোদির উচিত দেশের কৃষকদের তাদের কল্যাণের কথা না বুঝিয়ে দলের শরিক আকালিকে বোঝানো। যিনি শরিককেই বোঝাতে পারছেন না , তিনি বিরোধীদের ওপর রাগ করেন কোন যুক্তিতে। প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন : রাজ্যের মুখ্যসচিব হচ্ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest