চাষের জমিতে খসে পড়ল বড়ো সাইজের উল্কাপিণ্ড, চাঞ্চল্য বিহারে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#মধুবনি: জমিতে চাষের কাজ করছিলেন একদল কৃষক। হঠাৎ বিকট শব্দে কান প্রায় ঝালাপালা হয়ে গেল তাঁদের। সেই সঙ্গে আকাশ থেকে কিছু একটা পড়ল। ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারিদিক। হতচকিত কৃষকরা দৌড়ে কিছুটা দূরে চলে গেলেন। তার পর সব কিছু শান্ত হতে আবার ফিরলেন। দেখলেন, একটি বড়ো গর্ত হয়েছে আর সেখানে রয়েছে একটি পাথর। তার গা থেকে তখনও ধোঁয়া উঠছে। বুধবার বিহারের মধুবনির এই ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান গ্রামবাসীরা। খবর যায় স্থানীয় প্রশাসনে। এই পাথরের রহস্য এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এই রহস্যজনক পাথর আসলে একটি উল্কাপিণ্ড।

rock

ওই পাথরটি আপাতত বিহার মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে। তাঁর ওজন ১৫ কিলোগ্রাম এবং আকার একটা ফুটবলের মতো। মধুবনির জেলাশাসক সিরাসত কপিল অশোক জানিয়েছেন, “এই পাথর সাধারণ কোনো পাথর নয়। ১৫ কিলো ওজনের এই পাথরে ম্যাগনেটিক শক্তি রয়েছে। পাথরের একটা দিক অসম্ভব চকচক করছে। পাথরটির বাইরের অংশে একাধিক আঙুলের ছাপের মতো খাঁজ রয়েছে।”  বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পাথরটার বাইরের অংশে আঙুলের ছাপের মতো যে খাঁজ দেখা যাচ্ছে, সাধারণত উল্কা পৃথিবীর বায়ুস্তর ভেদ করার সময় এই খাঁজ হয়ে থাকে। তাই আপাতদৃষ্টিতে পাথরটিকে খসে পড়া উল্কার অংশ বলে মনে হলেও বিহারের শ্রীকৃষ্ণ সায়েন্স সেন্টারের বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন পাথরটিকে নিয়ে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তামিলনাড়ুতেও এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। আকাশ থেকে পাথর পড়ায় এক বাসচালকের মৃত্যুও হয়। সেটাকেও উল্কা পড়া হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, যদিও তামিলনাড়ুর ঘটনাটিকে উল্কা বর্ষণ বলে মানতে চায়নি নাসা। তবে সাম্প্রতিক ইতিহাসে সব থেকে বড়ো উল্কা বর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৩ সালে। রাশিয়ার উরাল পর্বতে একটি বিশালাকার উল্কা ধেয়ে এসেছিল। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অন্তত ১২০০ জন।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest