চিনের গোপন নজরদারিতে মোদী-মমতা-সনিয়া-তেন্ডুলকর!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গালওয়ান সঙ্ঘাতের প্রেক্ষিতে তিন দফায় শতাধিক চিনা অ্যাপ বাতিল করেছে ভারত। নরেন্দ্র মোদী সরকারের অভিযোগ ছিল, ওই সব অ্যাপ ভারতের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক। পূর্ব লাদাখে এখনও চলছে ভারত-চিন সঙ্ঘাত। এমন পরিস্থিতিতে চিনা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারতের বহু বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে চিফ অফ ডিফেন্স বিপিন সিং রাওয়াতের মতো আরও অন্তত ১৫ জন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এখন রয়েছেন চিনের গোপন নজরে ৷ সংবাদপত্র The Indian Express-এর একটি বিশেষ তদন্তে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷

আরও পড়ুন : BREAKING: ইমাম ভাতার পরে এবার পুরোহিত ভাতা, সঙ্গে বাড়িও! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

চিন সরকার এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে ১০ হাজারের বেশি হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি ৷ তাঁরা কী করছেন, কী করতে পারেন ইত্যাদি সব তথ্য জানা এবং নজরদারির জন্য শেনজেনের প্রযুক্তি সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে চিন সরকার ৷

ঘটনাচক্রে, ওই সংস্থাটি তথ্য সরবরাহ করে চিন সরকার, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি, চিনের সেনা-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকেও। ফলে তাদের নজরদারি-প্রসূত সেই তথ্য বেজিংয়ের হাতেও পৌঁছেছে বলে আশঙ্কা করছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও কূটনীতিকদের।

Zhenhua Data Information Technology Co. Limited সংস্থার মাধ্যমে চিনের নজরে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সনিয়া গান্ধি এবং তাঁর পরিবার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজস্থানের অশোক গেহলত, পঞ্জাবের অমরিন্দর সিং, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মতো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷ এবং রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গোয়েলের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদে, রতন টাটা, গৌতম আদানির মতো শিল্পপতিরা প্রত্যেকেই রয়েছেন চিন সরকারের নজরে ৷ যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর ওই তদন্তমূলক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনীতি থেকে বিনোদন, ক্রীড়া থেকে সংবাদমাধ্যম— এমনকি, অপরাধী ও জঙ্গিদের সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে দক্ষিণ পশ্চিম চিনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন শহরের ‘শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড’ নামে ওই সংস্থা। তাদের অন্যতম ‘ক্লায়েন্ট’ শি চিনফিং সরকার, চিনের সেনাবাহিনী পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং চিনা কমিউনিস্ট পার্টি। যদিও ওই সংস্থার কেউ সংবাদপত্রের তরফে পাঠানো কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। সংস্থার এক আধিকারিক ব্যাপারটি ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে বিশদ মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন : বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই উৎকণ্ঠা, করোনায় আক্রান্ত 17 জন সাংসদ

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest