Ramadan Preparations 2022: Best Tips To Prepare For The Holy Month

Ramadan Preparations 2022: রোজার আগেই যেসব প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রোজা এমন এক ইবাদত যার প্রতিদান ফেরেশতারা লিখতে অপারগ। কলমের কালি যার হিসাব লিখতে অক্ষম। রোজার প্রতিদান নিয়ে ভাবনা সাধ্য কার! মহান রবের বিশালতার সাথে রোজার প্রতিদানও মিশে আছে। রোজা একমাত্র মহান রবের জন্য। মহান আল্লাহ নিজ হাতে তার প্রতিদান দেবেন। এমন বরকতময় রমজান প্রতিবার আমাদের কাছে আসে মাস পেরিয়ে আবার সে এক বছরের জন্য বিদায় নেয়।

রমজানের প্রস্তুতি মানেই খাবারের সমাহার সংগ্রহের প্রস্তুতি নয়; বরং আত্মিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা। যদিও মানুষ আত্মিক প্রস্তুতি বাদ দিয়ে খাবারের আয়োজনেই বেশি ঝুঁকে পড়ে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যে কোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে; তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহ তাআলা পছন্দনীয় হিসেবে গ্রহণ করেন।’ (তাবারানি)। সুতরাং রমজানের আমল বা কাজ যেনতেনভাবে নয়; বরং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আদায় করতে হবে।

শাবান মাসে রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিশেষ কিছু আমল তথা মাহে রমজান পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে মুমিনের কি করা উচিত  তা আলোচনা করা হয়েছে।

১. রোজা রাখা: একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত বিশ্বনবী (সা.) শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করেছেন।

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসূলকে (সা.) রমজান ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ এক মাস রোজা পালন করতে দেখিনি। কিন্তু শাবান মাসে তিনি বেশি নফল রোজা রেখেছেন’ (মুসলিম)। তাই আমাদেরও শাবান মাসে রোজা রাখা উচিত।

২. বেশি দরুদ ও সালাম পাঠ করা: প্রত্যেক মুমিনের জন্য প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) ওপর দরূদ শরীফ পাঠ করা সর্বোত্তম ইবাদত। এটি মানুষের জন্য একমাত্র ইবাদত যা স্বয়ং মহান আল্লাহতায়ালা ও ফেরেশতাগণ পালন করেন এবং পৃথিবীর সকল  ঈমানদারকে নবীর প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ আল্লাহতায়ালা নিজেই দিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশনা সংবলিত আয়াতটিও এ মাসেই নাযিল হয়েছিল।

বরকতময় আয়াতের অর্থ হল: ‘নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে) নবীর প্রশংসা করেন এবং তার ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি অনুগ্রহ করেন।  হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও ।‘ (সুরা: আল-আহযাব-৫৬)

আরও পড়ুন: হতে পারে ৩০ দিনের রমযান মাস, সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করল আরব আমিরশাহী

৩. তওবা ও ইস্তেগফার করা: মানুষ স্বভাবত শয়তানে ধোঁকায় নিজেকে গুনাহের কাজে লিপ্ত করবে। কিন্তু মহান আল্লাহতায়ালা হলেন, ‘গাফির’ ক্ষমাকারী, ‘গফুর’ ক্ষমাশীল, ‘গফফার’ সর্বাধিক ক্ষমাকারী।

তাই বান্দা যখন নিজের গুনাহের জন্য অনুতপ্ত, লজ্জিত হয় এবং তওবা ও ইস্তেগফার পাঠ করে আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তখনই আল্লাহতায়ালা বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন। তওবাকারীকে আল্লাহতায়ালা ভালোবাসেন।

৪. কুরআন পড়া ও বুঝা: মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন পড়া ও বুঝা সর্বোত্তম নফল ইবাদত। রমজান মাস কুরআন নাযিলের মাস। তাই রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে কুরআন পড়া ও বুঝা উচিত।

৫. দান-সদকা করা: ধনী-গরিব নিয়েই আমাদের জীবন। কারো অগাধ পরিমাণ সম্পদ আছে, আবার কারো কিছুই নেই। ইসলাম সাম্যের ধর্ম। তাই ধনবান ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে নিদিষ্ট পরিমাণে গরিব ব্যক্তিদের দান করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) নিজে সর্বদা বেশি বেশি দান-সদকা করতেন এবং সাহাবাগণকে দান করতে উৎসাহী করতেন।

আরও পড়ুন: Shab e-Barat 2022: হালুয়া-রুটি ইবাদত নয়, সংস্কৃতি

 

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest