the meaning and benefits behind the popular om mani padme hum yoga mantra

Tibetan Mantra: ‘ওম মণিপদ্মে হুম’… এই তিব্বতি মন্ত্রের উপকারিতা অনেক! জানেন

‘ওম মণি পদ্মে হুম’ – চার শব্দের এই মহামন্ত্র বেশিরভাগ তিব্বতি প্রার্থনা পতাকায় দেখা যায়। আসলে এটা হলএকটা প্রাচীন বৌদ্ধ মন্ত্র, যার অর্থ ‘পদ্মের অন্তঃস্থলে থাকা রত্নের প্রশস্তি’। এই মন্ত্রকে যে ভাবে উচ্চারণ করা হয়, তা হল —- OHM-MAH-NEE-PAHD-MAY-HUM।  উত্তর ভারত, নেপাল এবং তিব্বতে পাহাড়ের গায়ে এই মন্ত্র খোদিত দেখা যায়। কারণ তিব্বতি ধর্ম অনুসারে বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্ত্র চোখে দেখলেও আমাদের ভেতরের শুদ্ধতার প্রকাশ ঘটে। তিব্বতি প্রেয়ার হুইল বা জপযন্ত্রে এই মন্ত্র খোদাই করা থাকে। জপযন্ত্র ঘুরিয়ে এই মন্ত্রোচ্চারণ করে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের উপাসনা করেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। স্বয়ং দলাই লামা মনে করেন যে ‘ওম মণি পদ্মে হুম’ মন্ত্রের সাহায্যে আমাদের মধ্যে বিশুদ্ধতার প্রকাশ ঘটে।

‘ওম মণি পদ্মে হুম’ মন্ত্রের অর্থ

ওম: এই ধ্বনিকে ব্রহ্মাণ্ডের শব্দ বলে মনে করা হয়। এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের যে তরঙ্গে, তাই ওম ধ্বনির মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। বৌদ্ধরা মনে করেন ওম শব্দ আমাদের মধ্যে সব অহংকার দূর করে স্বর্গীয় শক্তি জাগিয়ে তুলতে পারে।

মা: মা ধ্বনি উচ্চারণ আমাদের মধ্যে ঈর্ষার বিনাশ ঘটে বলে বিশ্বাস।

নি: বৌদ্ধ বিশ্বাস অনুসারে সব রকম কামনা বাসনা থেকে মুক্তি করে নি ধ্বনি। এটি মানুষকে ধৈর্য্য ধরার শিক্ষা দেয়।

পদ: সবকিছুকে সমান দৃষ্টিতে দেখার শক্তি প্রদান করে পদ ধ্বনি।

মে: এই দুনিয়ায় কোনও কিছুই আমার নিজের নয়। সবই পঞ্চভূতে লীন হয়ে যাবে। মনের মধ্যে এই বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে মে ধ্বনি।

হুম: ঘৃণা ও আক্রমণাত্মক মনোভাব দূরে করে মনের মধ্যে জ্ঞানের আলো জাগিয়ে তোলে হুম ধ্বনি।

আরও পড়ুন: Astro Tips: নববর্ষে টাকা আনবে টুংটাং শব্দ, উইন্ড চাইম ঘরে রাখার নিময়গুলি জানুন

‘ওম মণি পদ্মে হুম’ মন্ত্রোচ্চারণের উপকারিতা

* এই মন্ত্র জপ করলে ইন্দ্রিয়গুলি শান্ত হয়ে যায়।

* শরীরের বিভিন্ন অংশে শক্তি প্রদান করে এই মন্ত্র।

* যত বেশি মানুষ এই মন্ত্রোচ্চারণ করবেন, ততই ভেদাভেদ ভুলে এক সূত্রে গাঁথা হবেন সবাই।

* এই মন্ত্র মন পরিষ্কার করে, মনঃসংযোগে সাহায্য করে।

* এই মন্ত্র Mental Detoxification করে। অর্থাত্‍ আমাদের মনের ভেতর থেকে ঈর্ষা, উদ্বেগ, ভয়, অবসাদের মতো নেগেটিভ অনুভূতিগুলোকে দূর করে।

* এই মন্ত্র জপ করলে আমরা বুঝতে পারি যে পার্থিব দুনিয়া আসলে কিছুই নয়। যে শরীরের প্রতি এত মোহ-মায়া, তা যে আসলে আমাদের কোনও কাজেই লাগে না, সেই অনুভূতি আমাদের মধ্য়ে জাগরিত হয়।

আরও পড়ুন: ভক্তদের প্রবেশ অবাধ, মিলবে প্রসাদও! বছরের প্রথম দিনেই বড় উপহার বেলুড় মঠের