সংক্রামিত চার বছরের ছেলেও! করোনা আক্রান্ত প্রয়াত দেবদত্তা রায়ের সন্তান-সহ প্রায় গোটা পরিবার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

চন্দননগরে গতকালই করোনায় মৃত তরুণী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়ের চার বছরের সন্তান, স্বামী এবং শাশুড়িও নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রামিত বলে জানা গেল আজ, মঙ্গলবার। জানা গেছে, এখন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা চলছে তাঁদের। বেড পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে পরিবার।

দিন কয়েক আগেই করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছিল দেবদত্তার। ব্যারাকপুরে গিয়ে চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন তিনি। পরিবারসূত্রে জানা গেছে, দেবদত্তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এম আর বাঙ্গুরে ভর্তি করারও চেষ্টা চলছিল। রবিবার বাড়াবাড়ি হওয়ায় তাঁকে শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর রাও।

২০১১ ব্যাচের ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার ছিলেন দেবদত্তা। পুরুলিয়া ২ ব্লকের বিডিও ছিলেন। সেখান থেকেই বদলি হয়ে এসেছিলেন চন্দননগর মহকুমায়। জানা গেছে, পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা ডানকুনিতে আসছিলেন তাঁদের থাকা খাওয়া ও রাখার ব্যবস্থা করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সামলেছিলেন এই তরুণী আধিকারিক। তারপর নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন। কিন্তু এমন মর্মান্তিক পরিণতি হবে বলে কেউ ভাবতেও পারেননি।

আরও পড়ুন: লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিয়ে, ঠিক ১ মাসের মাথায় করোনায় মৃত্যু স্কুলশিক্ষিকার

এবার বিপদ আরও বাড়ল। দেবদত্তার ছোট্ট সন্তান এখনও বুঝে উঠতে পারেনি মাতৃশোক। সেও করোনায় সংক্রামিত হল আজ। বয়স্কা শাশুড়ির সংক্রমণ নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। দেবদত্তার স্বামীও আক্রান্ত হয়ে পড়ায় পারিবারিক সাপোর্ট মেলাও মুশকিল হয়েছে। এই অবস্থায় ভর্তির জন্য বেড না পাওয়ায় আরও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

দিনই আরও একটি করোনা মৃত্যুর খবর এসেছে চন্দননগর থেকেই। মারা গেছেন ৩৪ বছরের তরুণী সৌমি সাহা। ব্যান্ডেল ইএসআই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ওই তরুণীর বাড়ি চন্দননগর মুন্সিপুকুর এলাকায়।

জানা গেছে, কয়েক দিন ধরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন ওই শিক্ষিকা। শিক্ষিকার বাবাও করোনা পজিটিভ ছিলেন। চন্দননগর হাসপাতালে চিকিৎসা করান তাঁরা। চিকিৎসকের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে ছিলেন। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ব্যান্ডেলের ইএসআই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমি। আজ মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। বলাই বাহুল্য, একের পর এক এমন খবর আসায় আতঙ্ক বাড়ছে গোটা চন্দননগর জুড়েই। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি যুবক বয়সেও করোনার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে!

আরও পড়ুন: রাস্তাতেই প্রসব, কেতুগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী-সন্তান

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest