করোনা টেস্টে ‘না’ রেখার, স্যানিটাইজ করতে আসা পুরকর্মীদের ঢুকতেই দিলেন না বাংলোয়

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অভিনেত্রী রেখার (Rekha) বান্দ্রার ‘সি স্প্রিংস’ বাংলোর নিরাপত্তারক্ষী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় রবিবারই গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভার তরফে। উপরন্তু মঙ্গলবার সকালেই অভিনেত্রীর বাড়ির আরও দুই পরিচারকের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাসের উপস্থিতি। স্বাভাবিকবশতই রেখার গোটা বাংলো এবং তৎসংলগ্ন এলাকা স্যানিটাইজ করার কথা ছিল মুম্বই পুরসভার। কিন্তু সূত্রের খবর, অভিনেত্রী নাকি বৃহন্মুম্বই পুরকর্মীদের তাঁর বাড়িতে ঢুকতেই দেননি স্যানিটাইজেশনের জন্য! ঘটনায় হতবাক হয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা! চারদিকে যখন এমন করোনা আবহ, তখন এই পরিস্থিতিতেও তাঁর মতো একজন কিংবদন্তী অভিনেত্রী কী করে একাজ করতে পারেন? দায়বদ্ধতা নেই কোনও? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

শনিবারই বলিউডের এভারগ্রিন অভিনেত্রী রেখার বাংলোর নিরাপত্তা রক্ষীর দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। এরপরই বিএমসি-এর তরফে সিল করে দেওয়া হয় রেখার বাংলো। এমনকী BMC-র তরফে বাংলোর বাইরে একটি নোটিস বোর্ডও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে লেখা রয়েছে, ‘কন্টেনমেন্ট জোন’। রবিবারই জানা যায় করোনা টেস্ট হবে রেখারও। কারণ সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে মুম্বই পুরসভায়। সোমবার যখন মুম্বই পুরসভার তরফ থেকে রেখার ম্যানেজারকে ফোন করা হয় তখন তিনি জানান, ‘রেখা একদম ঠিক আছেন। সুস্থ আছেন। তিনি করোনার পরীক্ষা করাতে চাইছেন না। কারণ বাইরের কোনও রকম কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শেই আসতে চাইছেন না তিনি’।

আরও পড়ুন:  পোষা কুকুরের কামড়ে মুখে ক্ষত, হাসপাতালে ছুটলেন রণবীর কাপুর

এরপর বিএমসির তরফে জানানো হয়, যেহেতু রেখা ভালো আছেন এবং বাড়িতেই যাবতীয় সতর্কতা নিয়েছেন সেই কারণে এই মুহূর্তে তিনি অন্য কারোর সংস্পর্শে আসতেই চাইছেন না। তিনি তাঁর মতো করে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন এটা ভালো কিন্তু আইন অনুযায়ী করোনা হয়েছে এমন ব্যক্তির ক্লোজ কনট্যাক্টে থাকা সকলেরই করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। কারণ তাঁদেরও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।

এরপর বিএমসির তরফে আবারও একটি দলকে পাঠানো হয় স্যানিটাইজেশনের জন্য। তারাও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল বাড়ির ভেতরে ঢুকে পুরোপুরি স্যানিটাইজ করতে। কিন্তু অনেকবার ডাকাডাকির পর কেউ সাড়া দেয়নি। এমনকী দরজাও খোলেনি। ফলে তারা বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে যতটা সম্ভব স্যানিটাইজ করে। ওই দেহরক্ষীর কেবিনের আশপাশের অঞ্চল স্যানিটাইজ করে ফিরতে বাধ্য হয়।

এর আগে মুম্বই পুরসভার একটি দল যখন রেখার বাড়িতে যায় তখন তাঁর ম্যানেজার ফারজানা দরজার ফাঁক দিয়ে বলেছিলেন, এখন আমরা কোনও কথা বলব না। আমার নম্বর রাখুন। পরে ফোন করবেন। সেই মতো যখন মেদিক্যাল অফিসার সঞ্জয় পান্ডে রেখার ম্যানেজারকে ফোন করেন তখন তিনি জানান, রেখা করোনার পরীক্ষা করাতে রাজি নন।

আরও পড়ুন: রুক্মিনীর জন্য ৫ মিনিটে কবিতা লিখে ‘ট্রোলড’! পালটা ভালবাসা জানিয়ে হৃদয় জিতে নিলেন দেব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest