Amit Mitra may get new responsibility after the end of his term as finance minister

পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েই অমিতকে অর্থ দফতরে উপদেষ্টা পদে নিয়োগ, রাশ কি তবে মমতার হাতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাজ্য–রাজনীতিতে এখন একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তা হল—অমিত মিত্রের কী হবে? কারণ একুশের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তারপর উপনির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী হিসাবে দেখা যাচ্ছে না। অথচ‌ মন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় অমিত মিত্রের ভূমিকা কী হবে?‌ তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েই অর্থ দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্ত্রিত্বের সময়সীমা শেষ হবে নভেম্বর মাসে।

ভোটে না লড়লেও নিয়ম অনুযায়ী ছ’মাসের জন্য অমিতকে অর্থমন্ত্রী করেছিলেন মমতা। মমতা যে রাজ্যের আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অমিতের উপরই নির্ভর করতে চাইছেন, তেমন ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। তাই বিধানসভা ভোটে না লড়লেও অমিতকেই তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। অমিত তাতে সম্মত হন। পরে উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী হতেও অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শারীরিক কারণে অমিত তাতেও সম্মত হননি। কিন্তু এ কথা বার বার বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা তাঁকে যে ভাবে কাজে লাগাতে চান, তাঁর সাধ্যমতো তিনি সেই কাজে সহায়তা করবেন।

একদিকে রাজ্যের অর্থসঙ্কট, অন্যদিকে ঋণ পরিশোধ, সামাজিক প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ এবং দৈনন্দিন অর্থনীতি— এই দু’য়ের ভারসাম্য রেখে অর্থনীতি পরিচালনা করায় অমিতের উপর মমতার আস্থা আরও বেড়েছে। তাই অমিতকে বাদ রেখে রাজ্যের অর্থনীতি পরিচালনার ভার অন্য কারও উপর ছাড়তে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই মন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষের পরেই অমিতকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, অর্থ দফতরের প্রধান উপদেষ্টা পদে অমিতকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার অর্থ কার্যত তাঁর কাজের পরিধি বাড়িয়ে দেওয়া। আপাতত যা খবর, তাতে কাগজেকলমে অর্থ দফতরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রাখবেন। আর নিযুক্ত হবেন এক জন প্রতিমন্ত্রী। সেখানে পুর ও নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নাম সামনে আছে।

নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, চন্দ্রিমা আইনজীবী হিসাবে অমিত কর সংক্রান্ত বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এক সময়ে এই বিষয়ের বিশিষ্ট আইনজীবী দেবী পালের অধীনেও কাজ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে অমিতের বদলে চন্দ্রিমাকে রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়েছিল। নবান্নের মতে, সেখানে তাঁর ‘ভূমিকা’ ইতিবাচক। অর্থ দফতরের এক কর্তা বলেন, “কাজের সূত্রে অমিতের সঙ্গেও চন্দ্রিমার সম্পর্ক মসৃণ। জিএসটি বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি অর্থমন্ত্রী অমিতের সঙ্গে বার বার আলোচনা করে বিষয়টি বুঝে নিয়েছিলেন। সেই মতো বৈঠকে তাঁর যা করণীয়, তা করে এসেছেন।”

যদি শেষ পর্যন্ত অর্থ দফতরের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে তিনিই হবেন দেশের মধ্যে রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে প্রথম অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ জন্ম হতে চলেছে আরও একটা ইতিহাসের।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest