SSC Recruitment: Supreme Court Halts Probe Against Bengal Officers After 26,000 Teachers Lose Jobs

SSC Recruitment: মমতা মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ, নিয়োগ মামলার পরবর্তী সুপ্রিম শুনানি সোমবার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বেআইনি ভাবে নিয়োগ জেনেও বাড়তি পদ তৈরি সিদ্ধান্তের জন্য মমতা মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে অনুমোদন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

যদিও চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার। ফলে এখনও ঝুলে রইল চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষাকর্মীর ভাগ্য। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসএসসির করা মামলায় কমিশনকে শীর্ষ আদালতের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। জানা গিয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে তারা প্রস্তুত বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, ওএমআর শিট তো ধ্বংস করা হয়েছে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করবেন কী করে?

গত সোমবার এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাই কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে ওই চাকরিপ্রাপকদের। হাই কোর্ট জানায়, এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। প্রয়োজনে তারা সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিযোগ ছিল, অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য বাড়তি পদ তৈরি করা হয়েছিল এসএসসিতে। সেই পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল খোদ রাজ্যের মন্ত্রিসভা। সোমবারের রায়ে আদালত জানায়, সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

হাই কোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। মামলাটির শুনানি শুরু হল  প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। এদিন এসএসসির আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে প্রশ্ন তোলেন জানান, ৮ হাজার জনের নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলেও ২৩ হাজার চাকরি কেন বাতিল করা হল?’’ পাল্টা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’

এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশনের বেঞ্চের নির্দেশে যে সিবিআই তদন্ত চলছিল, তাতে আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন এই স্থগিতাদেশ? তার কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন, লোকসভা নির্বাচন চলছে। এখন সিবিআই তদন্ত করলে তো পুরো মন্ত্রিসভা জেলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। সেই কারণে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়। এর পরই সবদিক বিবেচনা করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

এদিন রাজ্যের কাছে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, “চাকরির পরীক্ষার ওএমআর শিট কতদিনের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়?” জবাবে রাজ্যের তরফে মুকুল রোহতাগি জানান, ১ থেকে ২ বছর সংরক্ষণ করা হয়। এর পরই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “ওএমআর শিট তো ধ্বংস করে দিয়েছেন তাহলে কীভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথক করবেন?” জবাবে রাজ্য়ের আইনজীবী জানান, “বিকল্প পথ রয়েছে।”

রাজ্যকে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, এই দুর্নীতি বিশাল বড়। এই দুর্নীতির সুবিধা কারা পেয়েছে? সেটা জানা দরকার। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার অর্থাৎ ৬ মে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest