#World Cup 2019: রোহিতের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩১৪ রানে থামল ভারত, মুস্তাফিজুরের ৫ উইকেট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#বার্মিংহ্যাম: শুরুটা দুরন্ত করেছিলেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। কিন্তু মাঝপথে কয়েকটা উইকেট পড়ায় রানের গতি কমে যায়। ফলে প্রথমে দেখে যতটা রান হভে মনে হয়েছিল, তার থেকে অন্তত ২৫ রান কম হলো। শেষদিকে ঋষভ পন্থ ও ধোনি কিছুটা রানের গোতি বাড়ালেন। কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানের ৫ উইকেটের সৌজন্যে ৩১৪ রানে শেষ হলো ভারতের ইনিংস।

মুস্তাফিজুর অতীতে ভারতকে বহুবার বেগ দিয়েছেন। বাঁ হাতি ‘কাটার মাস্টার’ শুরুতেই রোহিতকে তুলে নিতে পারতেন। শর্ট বল দিয়েছিলেন বাঁ হাতি মুস্তাফিজুর। ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় ডিপ স্কোয়ার লেগে তামিম ইকবালের হাতে লোপ্পা ক্যাচ যায়। সবাইকে অবাক করে রোহিতকে ফেলে দেন তামিম। রোহিত তখন ৯ রানে। সেই সময়েই যদি ‘হিটম্যান’ ফিরে যেতেন,  তা হলে বড় সমস্যায় পড়ে যেত ভারত। জীবন ফিরে পাওয়ার পরে রোহিতের ব্যাট কথা বলতে শুরু করে। চলতি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি করে ফেললেন রোহিত।  ৯০ বলে বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ শতরানটি করে ফেললেন তিনি।

২০১৫ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার তারকা কুমার সঙ্গকারা পর পর চারটি শতরান করেছিলেন। রোহিত পর পর চারটি সেঞ্চুরি না করলেও এক বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার দিক থেকে সঙ্গকারাকে এদিন ছুঁয়ে ফেললেন মুম্বইকর। ভারতীয় হিসেবে এক বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি সেঞ্চুরির নজির এজবাস্টনে গড়লেন ‘হিটম্যান’। তাঁর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। রোহিত টপকে গেলেন মহারাজকেও। সেঞ্চুরি করার পরে রোহিত অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি। ১০৪ রানে রোহিতকে ফেরান সৌম্য সরকার। ভারতের সহ-অধিনায়ক যখন ফেরেন, তখন ভারতের রান এক উইকেটে ১৮০। ৩৫০ রানের পাহাড়ে চড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। অথচ ৫০ ওভারের শেষে ভারত করল ৯ উইকেটে ৩১৪ রান। মুস্তাফিজ নিলেন পাঁচটি উইকেট। মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট চলে যাওয়ায় ৩৫০ বা তার কাছাকাছি পৌঁছতে পারল না টিম ইন্ডিয়া।

লোকেশ রাহুল এ দিন নিজের বদনাম ঘোঁচান। তাঁর প্রতিভা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু উইকেট ছুড়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় তাঁর মধ্যে। ৯২ বলে রাহুল ৭৭ রান করেন। রোহিতের সঙ্গে ১৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ওপেনিং জুটিতে। রাহুল ফিরে যাওয়ার সময়ে স্কোর বোর্ড দেখাচ্ছিল ৩২.৪ ওভারে ভারতের রান ২ উইকেটে ১৯৫। বাংলাদেশের হাতের বাইরে ম্যাচ নিয়ে যাওয়ার মোক্ষম সুযোগ তখন। বিরাট কোহালি (২৬) অন্যদিনের মতো খেলতে পারেননি। ঋষভ পন্থ দ্রুতগতিতে ৪১ বলে ৪৮ রান করেন।

মঙ্গলবার এজবাস্টনে দুই প্রতিবেশি দেশের লড়াই। মুখোমুখি ভারত-বাংলাদেশ। আজ জিতলেই শেষ চারের টিকিট কনফার্ম করে নেবে কোহলিরা। অন্যদিকে সেমি ফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে হলে আজ জিততেই হবে সাকিবদের।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest