#বার্মিংহ্যাম: ৫০ ওভারের শেষে ইংল্যান্ড করল সাত উইকেটে ৩৩৭ রান। হতে পারত আরও বেশি। রবিবার শুরু থেকেই যে গতিতে রান তুলছিল ইংল্যান্ড, তাতে ৫০ ওভারের শেষে ইংল্যান্ড ৩৭০ রান করলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না বিশ্বকাপের শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকতে আজ মাস্ট উইন গেম ইংরেজদের। বেয়ারস্টোর অনবদ্য সেঞ্চুরি সঙ্গে জেসন রয়ের হাফসেঞ্চুরি। আর বেন স্টোকসের দুরন্ত ৭৯ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রান তুলল ইংল্যান্ড। ভারতের সামনে জয়ের জন্য টার্গেট ৩৩৮ রানের।
এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলে প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন হয়। বিজয় শঙ্করের পরিবর্তে দলে ঋষভ পন্থ। অন্যদিকে ইংল্যান্ড দলেও দুটি পরিবর্তন করে। দলে ফিরেছেন জেসন রয় এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কমলা-গাঢ় নীল জার্সি পরেই মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া। ডু-অর-ডাই ম্যাচে শুরুতেই ভারতীয় বোলারদের ওপর রাজত্ব করলেন দুই ইংল্যান্ড ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো। ১৬০ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপই ইংল্যান্ডের ভিত গড়ে দেয়। ৫৭ বলে ৬৬ রান করেন রয়। ১১১ রান করে ফিরে যান জনি। ফের জ্বলে উঠলেন মহম্মদ শামি। আগের দু’ম্যাচে চার উইকেট করে নেওয়ার পর এ দিন পাঁচ উইকেট নিলেন শামি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন বুমরাহ। দু’জনের ডেথ বোলিংয়ে কমলো ইংল্যান্ডের রান।
শেষ ওভারে দেখা গেল বুমরাহ কামাল। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে স্টোকসকে ৭৯ রানের মাথায় আউট করেন বুমরাহ। শেষ ওভারে মাত্র তিন রান দেন তিনি। বাটলার ওকস আউট হওয়ায় অন্তত ১৫-২০ রান কম হয় ইংল্যান্ডের। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রানে শেষ হয় মরগ্যানদের ইনিংস।
এ বার সব দায়িত্ব ভারতীয় ব্যাটিংয়ের। রোহিত-রাহুল-বিরাটরা ধরে থাকতে পারলে এই পিচে রান আসবে। এখন দেখার ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কীভাবে জবাব দেন।