সব্যসাচী বনাম তৃণমূল লড়াই তুঙ্গে, মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধাননগরের কাউন্সিলররা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা:  বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে সরাতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি কি তবে শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস? এমনই প্রশ্ন তৈরি হয়ে গেল রবিবার।

বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম। রবিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে এই বৈঠক হাজির বিধাননগর পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর। মোট ৩৯ জন কাউন্সিলারের মধ্যে সব্যসাচী দত্তকে বাদ দিয়ে ডাকা হয়েছিল ৩৮ জনকে। এর মধ্যে ৩৬ জন এসেছেন বলে খবর। বৈঠকে রয়েছেন সুজিত বসুও। বিধাননগরের মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে বরখাস্ত করা হতে পারে বলে তুঙ্গে জল্পনা। বিধাননগরের মেয়রের ভুমিকায় তৃণমূল যে ক্ষুব্ধ, তা কার্যত এ বার প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিল দল।  রবিবার বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকের পর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, সবারই দলের শৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত। “সব্যসাচী থাকলে আমরা নেই।তাঁর পদে থাকার যোগ্যতা নেই।” ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে কাউন্সিলর বৈঠকে ঢোকার আগে বলেন পুরপিতা সুধীর সাহা। বৈঠকে ঢোকার আগে ক্ষোভ উগরে দেন পুরপিতা সুভাস বোস।

লোকসভা ভোটের আগে মুকুল রায়কে বাড়িতে ডেকে লুচি আলুর দম খাইয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিধাননগরের মেয়রের বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা চরমে উঠেছিল। ভোটের পরও মাঝে মধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলা থেকে বিরত হননি সব্যসাচী। কিন্তু গত শুক্রবার আইএনটিটিইউসি-র বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবন। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তথা বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। বিধায়ক তথা মেয়রের নেতৃত্বে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা সব্যসাচী দত্তের নেতৃত্বে বিদ্যুত ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালান। ভবনের ভিতর মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সব্যসাচী দত্ত বিদ্যুৎ দফতর কর্তৃপক্ষকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন।

সব্যসাচীর এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয় নেতৃত্ব। শনিবার সব্যসাচী মন্তব্য করেন, ‘‘যদি মনে হয় দলবিরোধী কাজ করছি, তাহলে আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করুক।’’ সব্যসাচীর এই মন্তব্যের পরেই বিধাননগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন ফিরহাদ। রবিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে সেই বৈঠকের পর ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমি আজীবন তৃণমূলে আছি এবং থাকব। আমি আশা করব, ‘‘আমার বন্ধুরাও শৃঙ্খলা মেনে কাজ করুন। এর মধ্যে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন, তাহলে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, নেত্রী যে আদেশ নেবেন, সেটা আমরা মেনে চলব।’’ তবে সব্যসাচীকে নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি ফিরহাদ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest