পিংলিশে এনকাউন্টার, হত পুলওয়ামা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সহ ৩

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

শ্রীনগর : ফের উত্তপ্ত উপত্যকা। রবিবার রাতে কাশ্মীর সীমান্তে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে সেনা। জানা গিয়েছে , দু’ পক্ষের গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে ৩ জঙ্গীর। সেনার দাবি হত জঙ্গিদের মধ্যে একজন হল পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড মুদাসির আহমেদ খান ওরফে মহম্মদ ভাট।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মুদাসির ত্রালের মীর মহল্লার বাসিন্দা। জইশের শুধু সক্রিয় সদস্যই নয়, উপত্যকায় বিভিন্ন সময় নানা জঙ্গি নাশকতার মূল মাথাও ছিল সে। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী এই মুদাসির পুলওয়ামার একটি কলেজ থেকে স্নাতক হয়। পরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (আইটিআই) থেকে ইলেকট্রিশিয়ান নিয়ে এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করে। জইশ শিবিরে যোগ দেয় ২০১৭ সালে। তদন্তকারীদের কথায়, সেই সময় উপত্যকায় জইশের অন্যতম মাথা ছিল নূর মহম্মদ তন্ত্রে ওরফে নূর ত্রালি। তাঁরই অধীনে প্রশিক্ষণ শুরু হয় মুদাসিরের। ওই বছরই নূরের মৃত্যু হলে, সেই জায়গায় পাকাপাকিভাবে বসে পড়ে মুদাসির।২০১৮ সাল থেকে উপত্যকায় জইশ নাশকতার অন্যতম মাথা হয়ে দাঁড়ায় মুদাসির ওরফে মহম্মদ ভাট। মৃত্যুর পর তার পরিবারের তরফে ছেলের দেহ পাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর৷

জানা গিয়েছে, ২০১৮-র জানুয়ারিতে লেথপোড়ায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলার পিছনে জড়িয়ে ছিল এই মুদাসির আহমেদ খান৷ সেই হামলায় নিহত হয় ৬ সিআরপিএফ জওয়ান৷ পুলওয়ামা ঘটনার পর এনাআইএ- তদন্তেও উঠে আসে জইশের এই জঙ্গির নাম৷ ২৭শে ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে তল্লাশিও চালায় নিরাপত্তাবাহিনী৷রবিবার ত্রালে জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে প্রথমে এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী৷ এরপরই শুরু হয়ে যায় এনকাউন্টার পর্ব৷ সেনা-জঙ্গির এই গুলির লড়াইয়ে তিন জঙ্গি খতম হয়৷ ঘটনাস্থল থেকে ২টি AK-47 রাইফেল এবং একটি পিস্তল পাওয়া গিয়েছে৷ ত্রালের এই পিংলিশ গ্রামে তল্লাশি জারি রেখেছে সেনাবাহিনী৷

নিহত তিন জঙ্গির ভেতর এক জন বিদেশি বলে জানা গিয়েছে৷ কে এই তৃতীয় জঙ্গি৷ আপাতত তার সন্ধানেই খোঁজখবর শুরু করেছে সেনাবাহিনী৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest