স্বল্প সময়ের মধ্যে যেসব রাজনীতিবিদ জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সামনে সারিতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভায় একাধিকবার তাঁর বাক্যবাণে বেসামাল হয়েছে মোদী সরকা। এদিন তাঁর ব্যাতিক্রম হয়নি।এদিন কেন্দ্রকে উলঙ্গ রাজার সঙ্গে তুলনা করে ফের শিরোনামে উঠে এলেন তিনি।
শনিবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাফ জানান, পিএম কেয়ার্স তহবিল জিএসটির নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। তাঁর অভিযোগ, এই তহবিল আদপে রাজ্যর ত্রাণ তহবিলের ক্ষতি করছে। পাবলিক ফান্ডকে কোণঠাসা করেছে। দেশের সরকারি বহু সংস্থা এই ফান্ডে অর্থ জমা করতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে। তা নিয়ে তৃণমূলের নব্য সাংসদের কটাক্ষ, “সম্রাটের দরবারীদের মতো জনগণের টাকায় সম্রাটকে উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করছেন।”
আরও পড়ুন : তুমুল অশান্তিতে রাজ্যসভায় পাশ জোড়া কৃষি বিল
উলঙ্গ রাজা কবিতার প্রসঙ্গ টেনে আনেন মহুয়া। বলেন, “আজকের ভারত হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের গল্পের কথা মনে করিয়ে দেয়। যেখানে সম্রাটের গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। তবে স্তাবকরা তা রাজাকে বলতে পারেনি।” তৃণমূল সাংসদের কথায়, “বাংলার কবি তার কবিতায় বলেছিলেন, এক ছোট্ট বালক একবার নগ্ন সম্রাটকে জিজ্ঞাসা করার সাহস দেখিয়েছিল, ‘রাজা, তোর কাপড় কোথায়?’ আর আজ আমিও সেই প্রশ্নই করছি, সম্রাট, আপনার কাপড়গুলি কোথায়?”
এর আগে সিএএ এনআরসি নিয়ে অমিত শাহ যখন গোটা দেশে হুঙ্কার ছাড়ছেন, তখনও লোকসভায় গর্জে উঠেছিলেন মহুয়। বর্তমানে প্রয়াত উর্দু শায়ের রাহাত ইন্দোরির প্রয়াত। তাঁর কবিতা কোট করে মহুয়া বলেছিলেন হিন্দুস্তান কারো বাপের নয়। কাউকে ভয় খাইয়ে দেশ থেকে তাড়ানো যাবে না। মহুয়ার সে দিনের সেই ভাষণ ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল সাইটে। তারপর একের পর এক ইস্যুতে তিনি বিজেপি সরকারের নীতিহীন নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। গর্জে উঠেছেন। যেখানে গর্জে উঠতে হয় সেখানেই।
চিনকে নিয়েও মোদি সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ। চিনা সংস্থাগুলির থেকে অনুদান গ্রহণের জন্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেন এবং মহুয়া বলেন, “কোনও মৃত ভারতীয়ও তাঁদের শত্রুর অর্থের বিনিময়ে ভেন্টিলেটরে যেতে চাইবে না।” সোস্যাল মিডিয়ায় আপাতত তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য ভাইরাল।
আরও পড়ুন : আচ্ছে দিন ! সরকারের অনুমতি ছাড়াই কোম্পানিতে নিয়োগ ও ছাঁটাই চালুর প্রস্তাব কেন্দ্রের