দোলের দিন টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাণীকুঠিতে বিজেপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে উপস্থিত হন বাবুল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই অনুষ্ঠানে ঢোকার আগে বাবুল যখন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনই এক যুবক বলে ওঠেন, ‘শুধু ছবি তুললে আর এখানে বসে থাকলে হবে না, লড়তে হবে।’ যুবকের কথা শুনেই ক্ষিপ্ত বাবুল তাঁকে বলেন, ‘তুমি চুপ করো না ভাই’। কিন্তু নাছোড় যুবক তারপরও বলেন, ‘আমি সত্যি বলছি।’
এরপরই ওই যুবককে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাবুল। কিন্তু সেখানে ঢোকার আগেই ওই যুবককে কষিয়ে চড় মারেন। যুবকের সানগ্লাস পড়ে যায় মাটিতে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে ঘটায় বিতর্ক ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। এমনকী ঘটনাক্রম প্রসঙ্গে বাবুলের দু’রকম দাবি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন : হোয়াটসঅ্যাপে Amazon থেকে পুরস্কার জেতার মেসেজ পাচ্ছেন? ভুলেও এই ফাঁদে পা দেবেন না
বাবুল বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে তৃণমূল ছেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এখন তো ফোন ট্যাপিংও হচ্ছে। আর দলে কিছু বিভীষণ, মীরজাফর ঢুকেছে। তাদের সবসময় চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। তাই গণ্ডগোল আটকাতেই ওই যুবককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ অর্থাৎ, তৃণমূলের চক্রান্ত নাকি দলেরই অন্দরে কোন্দল, তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত বাবুল নিজেও, এমনই অভিযোগ তৃণমূলের।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নামতে দেরি করেননি টালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী, রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ট্যুইটারে ওই ঘটনার ভিডিও দিয়ে তিনি লেখেন, ‘শ্রী বাবুল সুপ্রিয়, এত রাগ কেন করেন? টালিগঞ্জের এক যুবককে এভাবে থাপ্পড় মেরে বাংলায় হিংসার রাজনীতি করা বিজেপি নেতাদের জানাই ধিক্কার! ছিঃ!’ বাবুলকে কটাক্ষ করেছেন, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। বলেন, ‘সবকিছুতেই এখন তৃণমূলকে টানতে হচ্ছে। বুঝতে পেরে গেছে, আর সুযোগ নেই বাংলায়। তাই এমন বলতে হচ্ছে।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অবশ্য সাফাই, ‘গরমে সবারই একটু মাথা গরম হয়ে যায়। আর তাছাড়া উনি তো বলেছেন, ঘটনাটা অনভিপ্রেত।’ তবে, ভোটের ঠিক মুখে এভাবে নিজের কেন্দ্রের প্রচারে মেজাজ হারানোর ঘটনায় বিড়ম্বনা বাড়ল বাবুলের।
আরও পড়ুন : তৈরিই হয়নি ‘রিজেকশন লেটার’,আঁধারে এনআরসি-র ভবিষ্যৎ