জমা জল, মশা, টাইফয়েড আমাদের জীবনে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই মশা নির্মূল ও টাইফয়েড সারতে এই মাশরুমের জুরি মেলা ভার।
এই মাশরুমটি নাম পেনিস মাশরুম। যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় Phallus rubicundus বলে। পেনিস মাশরুম আসলে ছত্রাকের একটি প্রজাতি, যা স্টিঙ্কহর্ন পরিবারের অন্তর্গত। এটি প্রথম ১৮১১ সালে আবিষ্কৃত হয়। মূলত গ্রীষ্মকালীন দেশগুলি যেমন, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ ও পূর্ব আমেরিকা, চিন, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ঘানা, কঙ্গো, কেনিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় এই মাশরুমের দেখা মেলে।
এই মাশরুমের বিশেষত্ব হল, টাইফয়েড ও অন্ত্রের জ্বর কমাতে সাহায্য করে এই মাশরুম। এমনকি গর্ভবতী মহিলাদের যন্ত্রণার সময়ও পেনিস মাশরুম ব্যবহার করে। এটি চিনি দিয়ে গুঁড়ো করে শুকানো হয়। এর পরে, গর্ভবতী মহিলা বা টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীকে দিনে তিনবার এক চা চামচ খাওয়ানো হয়।
সায়েন্স অ্যালার্ট নামে একটি সাইট সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি প্রকাশ করে। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে এই মাশরুমের বিশেষত্ব কী? কেনই বা এই সময়ে ছবি প্রকাশ করা হল। পেনিস মাশরুম জন্মাতে পারে যেকোনও ধরনের ভেজা মাটি, লন, বাগান এবং আপনার বাড়ির পিছনের মাটিতে। ভারতের মধ্যপ্রদেশের উপজাতীয় গোষ্ঠী এটিকে ঝিরি-পিহিরি বলে।
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় আদিবাসীরা এটিকে কামোদ্দীপক হিসাবে কাজে লাগান। অর্থাৎ, পেনিস মাশরুম যৌন শক্তি বাড়ানোর ওষুধ তাঁদের কাছে। তবে এর গন্ধ খুবই উৎকট। এটির উচ্চতা সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। পেনিস মাশরুমের উপরের অংশ বেশ পুরু আর নরম। দেখতে অনেকটা পুরুষাঙ্গের মতো।