#ইন্দোর: প্রকাশ্যে পুরসভার কর্তব্যরত আধিকারিককে পিটিয়ে গ্রেফতার হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের পশ্চিমবঙ্গ পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিধায়ক-পুত্র আকাশ। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ থেকে সারা দেশে তোলপাল সৃষ্টি হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন আকাশ। তিনি ইন্দোর-৩ কেন্দ্রের নির্বাচিত বিধায়ক। বুধবার সকালে তরুণ এই রাজনীতিবিদ এবং তাঁর অনুগামীদের রুদ্ধশ্বাস সরকারি আধিকারিক পেটানোর দৃশ্য সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তিনি এবং তাঁর অনুগামীরা পুরসভার আধিকারিককে জনসমক্ষে ব্যাট দিয়ে পেটান।
জবরদখল বিরোধী অভিযানে গিয়েছিলেন মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ওই আধিকারিক। সেই সময়েই আকাশের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। ওই আধিকারিককে শাসাতেও দেখা যায় আকাশকে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে চলে না গেলে পরের ঘটনার দায় ওই আধিকারিককেই নিতে হবে — এমন কথাও বলতে শোনা যায় আকাশকে। এর পরেই দ্রুত বদলে যায় প্রেক্ষাপট। আধিকারিকের দিকে ব্যাট নিয়ে তেড়ে যান কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে। বেশ কয়েক ঘা মারতেও দেখা যায় তাঁকে। গোটা ঘটনাটি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সাংবাদিকদের সামনে আকাশ বলেন, “আমরা বিজেপি, এই শিক্ষা পেয়েছি, প্রথমে আবেদন, ফের নিবেদন এবং তাতেও কাজ না-হলে দনাদন”।
‘গুন্ডাগিরি’র এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সরগরম হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতিও। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, জনপ্রতিনিধি হয়ে কী ভাবে এক জন সরকারি আধিকারিকের গায়ে হাত তোলার সাহস দেখালেন ওই বিজেপি বিধায়ক! ঘটনার পর আকাশের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা এবং সরকারি আধিকারিককে নিগ্রহের বিরুদ্ধে এফআরআই দায়ের হয়। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।