#সোলান: কয়েকদিন ধরে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে হিমাচল প্রদেশে। রবিবার প্রবল বৃষ্টিতে সিমলা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে সোলান শহরে ভেঙে পড়ল একটি বহুতল বাড়ি। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে ১৪ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ সেনাকর্মী। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ সেনাকর্মী ও ১২ জন স্থানীয় মানুষকে।
সোলনের ডেপুটি কমিশনার কে সি চমন জানান, ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়া ৩৭ জনের মধ্যে ২৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক সেনা-সহ ১২ জন এখনও আটকে রয়েছেন। অন্য একটি সূত্রের দাবি, আগে যাঁরা উদ্ধার হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ জন সেনা। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দল প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে হরিয়ানার পঞ্চকুলা থেকে পৌঁছয় আরও একটি দল। রয়েছে সেনা ও সিআরপি-র উদ্ধারকারী দলও।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে তৃতীয় একটি টিমও পাঠানো হচ্ছে। উদ্ধারের কাজ তদারক করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। দ্রুত উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। কীভাবে বাড়ি ভেঙে পড়ল তা নিতে তদন্ত হবে। আপাতত জানা গিয়েছে, বাড়িটির নির্মাণে কিছু ত্রুটি ছিল। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অবহেলায় মৃত্যু ঘটানোর মামলা করা হয়েছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সেনাকর্মীরা উত্তরকাশী যাচ্ছিলেন। পথে তাঁরা ওই বহুতলের রেস্তোরাঁয় খেতে ঢোকেন।
গত কয়েক দিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি চলছে হিমাচলে। চণ্ডীগড়-শিমলা জাতীয় সড়কে গত কাল সারা রাত ধরে বৃষ্টিতে কাদার ধস নেমেছে। আটকেছে গাড়ির দল। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন বর্ষাকালে গোটা এলাকাটিই ধসপ্রবণ হয়ে উঠেছে।