৯ শিশুকে হত্যা করেও থামেনি ইসরায়েল, ফিলিস্তিনে চলছে বোমাবর্ষণ

নয় নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবারও ফিলিস্তিনে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে তারা। গত সোমবার থেকে দখলদার বাহিনীর হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয় নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করেও ক্ষান্ত হয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবারও ফিলিস্তিনে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে তারা। গত সোমবার থেকে দখলদার বাহিনীর হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ । ৯ শিশু ও ৫৭ বছর বয়সী এক নারীসহ ২৫ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১০৩ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিন ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে এক মহিলারয়েছেন। উপত্যকা এলাকায় বাড়ির ওপর বোমা পড়লে তিনি প্রাণ হারান এবং এসময় তার দুই শিশু সন্তানও আহত হয়। তাদের অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন : কলকাতা মেডিক্যালের কার্নিশে করোনা রোগী, PPE কিট পরে দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় উদ্ধার

এ দুটি শিশু ছাড়া আরও শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।মঙ্গলবার ফিলিস্তিনে সেভ দ্য চিল্ড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর জ্যাসন লি এক বিবৃতিতে বলেছেন, শিশুদের হত্যা বা আহত করার কোনও যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না। আমরা এর নিন্দা করছি এবং অবিলম্বে শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা বন্ধের দাবি জানাই।

ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি শিশু অধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। এর জন্য দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত ইসরায়েলি হামলাকে ‘নির্বিচার এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, জেরুজালেমে ভয়াবহভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েল দায়ী। সেখানে সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়েছেন আবুল ঘেইত।

এর আগে, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইযাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আল-আকসা মসজিদ এবং পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস শহরের শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবির থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি আটককৃতদের মুক্তি না দিলে এর জবাব দেয়া হবে।

ডেডলাইন শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পর সোমবার সন্ধ্যায় আল কাসসাম ব্রিগেড পূর্ব জেরুজালেমে শতাধিক রকেট হামলা চালায়। এই রকেট হামলার পর ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকার বেসামরিক এলাকায় বর্বরোচিত কায়দায় বিমান হামলা করে। এতে বহু ঘরবাড়ি ও শরণার্থী শিবির ধ্বংস হয়।সোমবারের এই হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোভিড অ্যাপ, সহজে জানা যাবে যাবতীয় তথ্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest