Gardening in Monsoon: বর্ষায় আপনার প্রিয় গাছের যত্ন যেভাবে নেবেন…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বৃষ্টির জল গাছের জন্য অনেক উপকারী। কারণ এতে থাকে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফেট ও নাইট্রেট আয়ন। বৃষ্টির জল আপনার ট্যাপের জলের চেয়ে অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ। এ কারণে বর্ষাকালে গাছের পাতাগুলো আরো চির সজীব হয়ে ওঠে। তবে বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির ফলে অনেক গাছ মারাও যেতে পারে। বর্ষাকালে গাছের এই ক্ষতিকর দিক এবং কীভাবে সমাধান করা যায় ও গাছের ফলন বাড়ানো যায় জেনে নিন-

বর্ষাকালে অতিবৃষ্টি ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট সদস্যদের গাছের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। তাই এদের খোলা আকাশের নিচে না রাখাই ভালো। এই জাতীয় গাছগুলোকে ছায়ার মধ্যে বা ঘরের মধ্যে রাখা উচিত।

গাছের জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো ঘরোয়া গাছের জন্য এমন টব বা পাত্র বাছাই করা দরকার যেটায় জল বেরিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনমত ছিদ্র থাকে।

যদি বৃষ্টির পরও টবে জল জমা দেখা যায়; তাহলে টব একদিকে কাত করে ফেলে দিতে হবে। আর মাটি না শুকালে একটু খুচিয়ে দিতে হবে যাতে সম্পূর্ণ মাটি শুকিয়ে যায়।

বর্ষায় গাছে কি জল দেওয়া উচিত? এর উত্তর হলো, না। অতি বৃষ্টির ফলে গাছে জলের ঘাটতি পূরণ হয়। তাই গাছের মাটি না শুকানো পর্যন্ত জল দেওয়া উচিত নয়।

আরও পড়ুন: বাত ও চুলপড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাড়ির টবে লাগান রোজমেরি

গরমে যেমন টবের মাটি কয়েক ইঞ্চি নিচ পর্যন্ত ভরাট করতে হয়, তেমনই বর্ষাকালে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য টবে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া উচিত যাতে জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।

অতিবৃষ্টির সময় অবশ্যই এমন ধরণের মাটি নির্বাচন করতে হবে; যাতে মাটি খুব দ্রুত জল শুষে নিতে পারে। আর তাই এর জন্য এঁটেল মাটি ব্যবহার করা উপযোগী। মাটি তৈরির ক্ষেত্রে মাটির সাথে সার মেশানোর সাথে সাথে বালি ও নুড়িপাথর বেশি পরিমাণে মিশিয়ে নিতে হবে।

অনেক সময় পিঁপড়ে বা অন্যান্য ছোট ছোট পোকা টবের নিচে বাসা তৈরি করে। এসব পোকামাকড় গাছের অনেক ক্ষতি করে। তাই গাছের টব সরিয়ে নিয়ে পোকামাকড় ধ্বংস করতে হবে।

বর্ষাকালে সার প্রয়োগ না করাই ভালো। কেননা বৃষ্টির জলে যে পরিমাণে নাইট্রোজেন বা অন্যান্য উপাদান থাকে তা গাছের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। তাই সার দেওয়া উচিত নয়।

গাছে যদি মুকুল ধরে তখন কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত তাতে অন্যান্য মুকুল বা পাতায় পোকা আক্রমণ করার আশংকা কমে যায়।

ঝড় বৃষ্টিতে অনেক সময় গাছ, বিশেষ করে চারা গাছ একদিকে হেলে যায়। তাই গাছের অবস্থান ঠিক রাখার জন্যে গাছের সঙ্গে খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।

মাঝে মাঝে দেখা যায় গাছের মাটিতে অনেক কেঁচো। এতে ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই। কারণ কেঁচোকে প্রকৃতির লাঙল বলা হয়। এই কেঁচো মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে থাকে।

গাছের মরা ডাল পাতা বা মরা ফুল, ফল কেটে ফেলা উচিত। অবাঞ্চনীয় কান্ড বা পাতা থাকলে গাছকে যেমন অসুন্দর লাগে তেমনি গাছে খাদ্য বা জল চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

আরও পড়ুন: জাপানের জাতীয় ফল ‘পার্সিমন’ এবার কাঁকসার জঙ্গলমহলের মাটিতে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest