ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের আর্জি খারিজ, বিজয় মাল্যর প্রত্যার্পণ কি সময়ের অপেক্ষা?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ওয়েব ডেস্ক: বিজয় মালিয়ার দেশে ফেরার খবরটা কি হাওয়া অফিস দেয়? তা না হলে তা এমন সম্ভাবনাময় হয় কেন ? এমন প্রশ্ন বহু মনে। তবে এবার নাকি খবর খানিকটা পাকা।ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর আর্জি নাকচ হল ১,১০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন লিকার ব্যারন বিজয় মাল্যর।

ফলে তাঁর ভারতে প্রত্যার্পণ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।২০১৮ সালের একটি মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার আবেদন করেন বিজয় মালিয়া । কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।

একাধিক ভারতীয় ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত দেশত্যাগী শিল্পপতি বিজয় মাল্যকে ভারতে প্রত্যর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের বিচারক এমা আরবাথনট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডন হাইকোর্টে আবেদন জানালে সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখা হয় এবং ভারত সরকারের আর্জি মেনে তাঁকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রতিবাদ এমনও হয়! ট্রাম্পের গাফিলতিতে করোনা-মৃত্যুর সংখ্যা জানাচ্ছে টাইমস স্কোয়ারের ঘড়ি

এ দিনের রায়ের আগে ভারত সরকারের উদ্দেশে মাল্য টুইটারে আবেদন জানান, একাধিক ব্যাঙ্কে তাঁর অপরিশোধিত ঋণ বাবদ ১০০% অর্থ করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারি ত্রাণ তহবিলে জমা নেওয়া হোক এবং তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় মামলা তুলে নেওয়া হোক।

ভারত-ইংল্যান্ড প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী যদি কোনও ‘গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয়’ থাকে তবে তা নিয়ে সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কিছু নেই, এটি সরাসরি ঋণ খেলাপের বিষয় বলে দাবি করেছিলেন ভারতের সংশ্লিষ্ট এক অফিসার জানিয়েছিলেন। গত মাসেই তিনি বলেন, মাল্যর প্রত্যর্পণ এখন সময়ের অপেক্ষা। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ২৮ দিনের মধ্যেই সে দেশের সরকার বিজয় মাল্যর ভারতে ফেরার নির্দেশ দিতে পারে।

লন্ডন হাইকোর্টে মামলায় হেরে গিয়ে এবার ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর জন্য আর্জি জানান মাল্যর আইনজীবী। বুধবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে লন্ডন হাইকোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে মাল্যর মালিকানাধীন কিংফিশার এয়ারলাইন্স বন্ধ হওয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগের সম্মুখীন হওয়ার জন্য নির্বাসিত শিল্পপতিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হোক।

লন্ডন হাইকোর্টে মাল্যর আইনজীবীরা দাবি করেন যে, তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে কোনও প্রত্যক্ষ অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার। এ ছাড়া ওয়েস্ট মিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টের বিচারকের রায় নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু সেই সমস্ত যুক্তিকে আমল দেয়নি হাইকোর্ট। লন্ডন হাইকোর্টে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় এবার একমাত্র ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটস-এই দেশে না ফেরানোর জন্য আবেদন জানানোর রাস্তা খোলা রইল বিজয় মাল্যর সামনে। ওই আবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত ইনজাংশন জারি করলে তবেই তিনি আপাতত রেহাই পেতে পারেন। 

লন্ডন হাইকোর্টে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় এবার একমাত্র ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটস-এই দেশে না ফেরানোর জন্য আবেদন জানানোর রাস্তা খোলা রইল বিজয় মাল্যর সামনে। ওই আবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত ইনজাংশন জারি করলে তবেই তিনি আপাতত রেহাই পেতে পারেন। সেই আবেদন না জানালে ব্রিটিশ হাইকোর্টের রায়দানের ২৮ দিনের মধ্যে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য ব্রিটেন।  

আরও পড়ুন:না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন সাহিত্যিক আনিসুজ্জামান, সাংস্কৃতিক জগতে শোকের ছায়া

Gmail 1

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest