রূপচর্চায় অপরিহার্য গ্রিন টি, বিশ্ব চা দিবসে জেনে নিন তারই খুঁটিনাটি…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আজ বিশ্ব চা দিবস। যদিও United Nations general assembly র অনুমোদিত চা দিবস ২১ মে। তবে আজ অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চা দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়। চা-এর যে হাজার গুণ রয়েছে সে ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল চা প্রেমীরা। তবে প্রতিদিনের ঘরোয়া রূপচর্চাতেও যে চা (বিশেষ করে গ্রিন টি এবং বিভিন্ন ভেষজ চা) অপরিহার্য সে কথা বোধহয় অনেকেরই অজানা।

দৈনন্দিন ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় চা কীভাবে কাজে লাগে রইল তারই খুঁটিনাটি

১। চুলের পরিচর্যা– যাঁদের চুল খুব রুক্ষ তাঁরা শ্যাম্পু বা হেনা করার পর চায়ের লিকারে লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এর ফলে চুল নরম থাকবে। পাশাপাশি ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবেন। অর্থাৎ চুল থাকবে ঝলমলে। এক্ষেত্রে সাধারণ চায়ের বদলে বিভিন্ন ভেষজ চা ব্যবহার করলে ভাল। গরম জলে টি-ব্যাগ ডুবিয়ে লিকার তৈরি করে নিন। তারপর সেই লিকার একদম ঠান্ডা হলে চুল ধুয়ে নিন। খানিকক্ষণ চায়ের লিকার মিশ্রিত জল চুলে থাকতে দিন। মিনিট পাঁচেক পর ফের পরিষ্কার জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চায়ে থাকা ক্যাফাইন রুক্ষ চুলের ক্ষেত্রে কন্ডিশনারের কাজ করে। চায়েক লিকার মিশ্রিত জল দিয়ে শ্যাম্পুর পর চুল ধুলে চুল সতেজ থাকে। চুল পড়ার সমস্যাও কিছুটা কমতে পারে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই পদ্ধতিতে চুল ধুয়ে দেখতে পারেন। তবে অয়েলি স্ক্যাল্প এবং খুশকির সমস্যা থাকলে এই প্রক্রিয়া আপনার চুলে অ্যাপ্লাই করবেন কিনা সে ব্যাপারে বিউটি এক্সপার্ট বা ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে নিন।

আরও পড়ুন: শীতের শুরুতেই পা ফাটছে? সমাধান এই ঘরোয়া টোটকাতেই

২। ব্রন-র সমস্যা– যাঁদের মুখের ব্রনর সমস্যা রয়েছে তাঁরা গ্রিন-টি ভেজানো জল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। গরম জলে গ্রিন টি-র টি ব্যাগ মিশিয়ে লিকার তৈরি করে নিন। এরপর ওই মিশ্রণ ঠান্ডা হলে ফ্রিজে রেখে দিন। বাইরে বেরোলে বাড়ি ফিরে, কিংবা স্নানের সময় ওই মিশ্রণ তুলোয় করে আলতো হাতে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট ১৫ রেখে তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। বেশ কয়েকদিন টানা এই অভ্যাস করলে ব্রনর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩। বডি ট্যান – শীতকালেও মুখ এবং হাত-পায়ের চামড়ায় যথেষ্ট ট্যান পড়ে। আর গরমকালে সানবার্নের সমস্যা তো প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ট্যান বা কালো ছোপ দূর করার জন্য গ্রিন টি দারুণ ভাবে কাজ করে। এক চা-চামচ গ্রিন টি পাতা, দুই টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ বা এমনি দুধ, সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং গোলাপ জল দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে পারেন। মুখে ও হাতে-পায়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হাল্কা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। চার-পাঁচদিন এই অভ্যাস করলে ত্বকের কালচে দাগ-ছোপ দূর হবে এবং ত্বক উজ্জ্বলও হবে।

৪। বডি স্ক্রাব এবং ফেস মাস্ক– এখন যেহেতু শীতকাল তাই প্রায় সবাই রাতে ঘুমানোর আগে মুখে ক্রিম লাগান। এই ক্রিম লাগানোর আগে গ্রিন টি-র ঠান্ডা লিকার আর গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর ক্রিম লাগান। এতে মুখের ত্বক নরম থাকবে এবং উজ্জ্বল হবে। এছাড়াও বডি স্ক্রাবের জন্য স্নানের সময় গ্রিন টি-র টি ব্যাগ ভেজানো ঠান্ডা জল, মধু, লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে গায়ে এবং হাত ও পায়ে লাগান। মিনিট ২০ রাখার পর হাল্কা গরম জল দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করে নিন। তারপর গরম জল দিয়ে ভাল করে স্নান করে নিন। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হবে। ট্যান থাকলে তা কমে যাবে।

৫। খুশকির সমস্যা– শীতকালে রুক্ষ-শুষ্ক আবহাওয়ায় আমাদের ত্বক এবং মাথার তালুও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে তীব্র ভাবে দেখা দেয় খুশকির সমস্যা। এর থেকে রেহাই পেতে ১ কাপ গ্রিন টি-র লিকার, ১টি লেবুর খোসা এবং ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ নারকেল তেল একটি পাত্রে গরম করে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। একটু ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিলে খুশকির সমস্যা কমে যাবে। মাসে ৩ থেকে ৪ বার এই পদ্ধতিতে চুল ধুতে পারলে অনেকটাই কমে যাবে খুশকি।

আরও পড়ুন: শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না? জেনে নিন কতটা ক্ষতি করছেন ত্বকের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest