ওয়েব ডেস্ক: চেক প্রজাতন্ত্রের মানুষেরা এখন চাইলেই বাইসাইকেল বা হার্ডওয়ারের দোকানে যেতে পারবেন। টেনিস খেলতে পারবেন। বাধা নেই সুইমিংপুলে যেতেও। কাল খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার উৎসব । এর আগেই সব দোকান খুলে দিতে চায় অস্ট্রিয়ার সরকার। করোনাভাইরাসে সংক্রমনের এখনকার নিম্নগতি অব্যাহত থাকলে, আগামী সপ্তাহে ডেনমার্কের কিন্ডারগার্টেন এবং স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে। এক সপ্তাহ পর খুলছে নরওয়ের স্কুলগুলোও।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পশ্চিমের দেশগুলোর মধ্যে এই দেশগুলোই প্রথম লকডাউন তুলে দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরানোর পথে আছে।
আরও পড়ুন : জেনারেল ওয়ার্ডে করোনা রোগী! সংক্রমণের শঙ্কায় বন্ধ হল RG Kar-এর ২ বিভাগ
তবে থরহরি কম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ইউরোপের এই দেশগুলোর কাছে থেকে অনেকেরই শেখার আছে কীভাবে এই ভয়াবহ ভাইরাসের সঙ্গে লড়েত হয়। ফিরতে হয় স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে। সিএনএনের বিশেষ প্রতিবেদনে সেই ফিরে আসার ছবি তুলে ধরা হয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক ড. হ্যান্স ক্লজ এ সপ্তাহেই সাবধানবাণী উচ্চারন করেছেন। তাঁর কথা, ইউরোপের অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক। আর এখন লকডাউন শিথিল করার উপযুক্ত সময় নয়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কর্মকর্তার এই উদ্বেগ অমূলক নয় একেবারেই। কারণ, বিশ্বের করোনা সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত ১০টি দেশের মধ্যে সাতটিই ইউারোপে।মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কোনো ভ্যাকসিন আবিস্কারের আগে লকডাউন পুরো তুলে দেওয়াটা উচিত হবে না। তবে অক্সফোর্ড বিজনেস স্কুলের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পিটার ড্রোব্যাক বলছেন, যেসব দেশ তাদের লকডাউনের কড়াকড়ি এখন উঠিয়ে নিচ্ছে সেগুলো হলো সেইসব দেশ যারা সবচেয়ে আগে এটা বাস্তবায়ন করেছিল।
আরও পড়ুন : মৃত্যুপুরী নিউইয়র্ক: করোনায় মৃতদের গণকবরে থরে থরে কফিন
আবার এসব দেশের মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের চেয়ে কম। সামাাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে এসব দেশ উদাহরণ তৈরি করেছে। আবার এসব দেশে করোনার টেস্ট হয়েছে ব্যাপকা হারে। তারা এখন ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে। আর এ জন্য সমন্বিত পরিকল্পনাও করেছে যথার্থভাবে তারা এমনভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছে, যাতে নতুন করে এ রোগে ফিরে এলে তারা আবার কঠোর লকডাউনে ফিরতে পারে।
আরও পড়ুন :ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা! আরও অন্তত ২ সপ্তাহ লকডাউন চলবে-সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর