রাজ্যে এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় দল, নমো-শাহকে ট্যাগ করে ‘কারণ’ জানতে চাইলেন মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে এই সিদ্ধান্তের পিছনে ‘যৌক্তিকতা’ জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়েই রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, উপযুক্ত কারণ না জানালে কেন্দ্রের দলকে জেলায় ঘুরতে দেবে না রাজ্য। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলেই মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার সঙ্গে কথা বলতে নবান্নে যান কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল।

কলকাতা ও বাগডোগরা বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় আমলাদের দল পা রাখার পনেরো মিনিট আগে তা নবান্নকে জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এমনকি আমার তো মনে হচ্ছে ওঁরা (আন্তঃমন্ত্রক দলের সদস্যরা) এখানে আসার পর আমাদের জানানো হয়েছে!”

এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লেখেন, ‘COVID-19 নিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে আমরা সব ধরনের গঠনমূলক সাহায্য ও পরামর্শকে স্বাগত জানাচ্ছে। তবে ২০০৫ বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী কীসের ভিত্তিতে দেশের বেশ কিছু জেলায় IMCT পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা অস্পষ্ট।’

কিন্তু কেন্দ্রের এই চিঠি প্রসঙ্গে এ দিন মমতা টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় আমরা সব রকমের গঠনমূলক সহযোগিতা এবং পরামর্শকে স্বাগত জানাচ্ছি, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু কিসের ভিত্তিতে ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী দেশের নির্দিষ্ট কিছু জেলায়, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েকটি রয়েছে, ওই দল পাঠানো হচ্ছে তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। বিষয়টি স্পষ্ট করতে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করছি। যত ক্ষণ সেটা না হচ্ছে, আমি ভীত। সঙ্গত কারণ না থাকার কারণে আমরা কোনও ভাবেই এটা নিয়ে এগতে পারব না। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী।’’


কলকাতা,হাওড়া-সহ পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলায় করোনা-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র টুইট করে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের করোনা সংক্রমিত এলাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংক্রমিত তালিকায় বাংলার জেলার সংখ্যাই বেশি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest