গত দু’সপ্তাহের তুলনায় সুস্থতার হার দ্বিগুণ, কয়েক সপ্তাহে জিততে পারবে দেশ, আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: সব মাপকাঠিতেই বিশ্বের অন্যান্য করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলির তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি ভালো। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।পাশাপাশি তাঁরা আশা, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করোনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ে জয়ী হতে পারবে দেশ।

নীতি আয়োগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন নাগরিক এবং অলাভ সংগঠনের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে ভারতের প্রস্তুতি ও ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ জয়ের ক্ষেত্রে আমরা অনেকটা এগিয়েছি।’ সব মাপকাঠিতেই অন্যান্য দেশের থেকে ভারতের ফল ভালো বলে দাবি করে হর্ষবর্ধন বলেন, ‘আর আমি নিশ্চিত যে আগামী কয়েক সপ্তাহে করোনার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধে আমাদের জিততে পারা উচিত। ‘

আরও পড়ুন: ঞ্চভূতে বিলীন ঋষি কাপুর, ভেঙে পড়লেন নিতু, স্তব্ধ রণবীর-আলিয়া,পৌঁছতে পারল না ঋদ্ধিমা,দেখুন ছবি

মন্ত্রীর মতো আশার আলো শুনিয়েছে তাঁর মন্ত্রকও। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনের আগে ৩.৪ দিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার হারও উল্লেখ্যজনকভাবে বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘বর্তমানে সেরে ওঠার হার ২৫.১৯ শতাংশ। অর্থাৎ ১৪ দিনে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৩.০৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ শতাংশ।’

পাশাপাশি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হারও কম বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যুগ্মসচিব বলেন, ‘ভারতে মৃত্যুর হার ৩.২ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ পুরুষ। ৩৫ শতাংশ মহিলা। বয়স অনুযায়ী পরিসংখ্যান দেখলে ৪৫ বছরের নীচে মৃত্যুর হার ১৪ শতাংশ। ৪৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত মৃত্যুর হার ৩৪.৮ শতাংশ। ৬০ বছরের বেশি করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর অনেকটা বেশি – ৫১.২ শতাংশ। সেটাও যদি ভাঙা যায়, তাহলে ৬০ থেকে ৭৫ বছর পর্যন্ত ৪২ শতাংশ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ৭৫ বছরের উর্ধ্বে মৃত্যুর হার ৯.২ শতাংশ।’

একরাশ উদ্বেগের মাঝেও ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরলেন তিনি। আগারওয়াল বললেন, “সুস্থতার হার ধীরে ধীরে বাড়ছে।” এই হাত ধরে রাখার জন্য টেস্টিং এবং চিকিৎসা পদ্ধতিতে কড়া নিয়ম মেনে চলার কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমাদের কেবল RT-PCR টেস্ট করতে হবে।” প্রসঙ্গত, এর আগে চটজলদি টেস্ট কিটে টেস্টিং এর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ভুল রেজাল্ট মিলছিল একাধিক রাজ্যে। 

একই সঙ্গে তিনি জানান গত ২৪ ঘন্টায় দেশে মোট ১,৭১৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩,০৫০ জন। এর মধ্যে ২৩,৬৫১টি অ্যাক্টিভ কেস অর্থাৎ চিকিৎসা চলছে। বাকি ৮,৩২৪ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন অথবা অন্য দেশের হলে তাকে সেখানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তবে আশার আলো দেখা গেলেও করোনা মোকাবিলায় কোনওরকম রাশ আলগা করতে রাজি নয় কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১,০০০ টি জায়গায় করোনভাইরাস জিনগত ক্রম করছে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) ও বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট। একইসঙ্গে দেশে প্রতিদিন দেড় লাখ পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) তৈরি হচ্ছে বলে জানান হর্ষবর্ধন। মে’তে ভালো মানের অ্যান্টি-বডি টেস্ট ও করোনা নির্ণয়ের কিটও দেশীয়ভাবে অধিক পরিমাণে তৈরি হবে।

আরও পড়ুন: যাত্রা শুরু ৯৫টি বাসের, রবিবারের মধ্যে রাজস্থান থেকে বাংলায় ফিরবেন পড়ুয়ারা

Gmail 4
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest