The News Nest: কিছুদিন ধরেই হিংসার পক্ষে সওয়াল করছিলেন দিলীপ। বলছিলেন বদল এবং বদলা দুটোই দরকার। শ্যামাপ্রসাদের নাম করে হিংসাকে জোর গলায় সমর্থন করেছিলেন। তবে এত দ্রুত নিজেই ঝড় কেচেয়ে যাবেন সম্ভবত আঁচ করেননি।
তৃণমূলের খাসতালুকে মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আনলক ২-এর প্রথম দিন নিউ টাউন লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার একটি বাজারে চা পান করতে গিয়ে এই বিপত্তি। তাঁর গাড়ির কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন দিলীপবাবু। পুরো ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দুষেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : কেন্দ্র নভেম্বর অবধি, আগামী বছর জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন দেবে মমতা সরকার !
দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কচপুকুর এলাকার একটি দোকানে চা খেতে যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কিন্তু এলাকায় ঢুকতে গিয়ে তিনি বাধা পান। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
দিলীপ ঘোষকে যারা এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না, তাদের সঙ্গে সাংসদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের রীতিমত ঝগড়া লেগে যায়। সাংসদও চোট পান বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
এই ঘটনার নেপথ্যে মহসীন গাজী নামের এক তৃণমূল নেতা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। তবে তৃণমূলের তরফে তাপস চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে বিজেপিই এলাকায় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল।
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে বাংলায় বিশেষ সুবিধা করতে পারছে না বিজেপি। তাদের যে ভোটার নেই তা নয়। আসলে বাংলার মানুষ এখনও মমতার বিকল্প হিসাবে দিলীপকে মনে নিতে পারছেন না। ঠিক এই সুবিধাটাই দিল্লিতে পেয়েছেন কেজরিয়াল। ঘোর বিজেপির লোকও দিল্লিতে মনোজ তিওয়ারিকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসাবে মনে নিতে পারেনি। ফলে তার ফl ভুগতে হয়েছিল বিজেপি। মোদির সাফল্যের পিছনেও অনেকটা তেমনই গপ্পো।
মোদির বিকল্প হিসাবে রাহুলকে এখনো দেশবাসী দেখতে রাজি নন। অথচ সব মায়ের মত সোনিয়া গান্ধীও চান আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাবতে। রাহুল যখন মোদির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন, তখন ১২ আনা খেলা মোদী জিতে যাচ্ছেন। বাংলায় বিজেপির মুখ নেই। সেখানেই চাপে পড়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন : এবার করোনার থাবা বেলেঘাটা নাইসেডে, আক্রান্ত ডিরেক্টর শান্তা দত্ত, ভর্তি ID হাসপাতালে