হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

তাঁর লেখা উপন্যাস ও ছেটগল্পও জনপ্রিয় ছিল পাঠকদের মধ্যে। তাঁর মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৪।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিশিষ্ট সাংবাদিক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অকাল মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই আরও এক মৃত্যু। এবার ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন ‘শার্দুল সুন্দরী’র স্রষ্টা শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার মধ্য রাতে গড়িয়াহাটের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৫০। জানা গিয়েছে, বাথরুমে সংজ্ঞা হারান তিনি। সকালে তাঁর মেয়ে গিয়ে তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পান। এরপর চিকিৎসকরা শীর্ষবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সাহিত্যিক মহল।

সোমবার রাত ১০টা নাগাদ নিজের ফেসবুকে এক দুর্যোগঘন কালো আকাশের ছবি শেয়ার করে শীর্ষবাবু লিখেছিলেন ‘ওরে ঝড় নেমে আয়’। এটাই তাঁর শেষ ফেসবুক পোস্ট।

আরও পড়ুন: Happy Birthday Vicky Kaushal: জন্মদিনে ফিরে তাঁর ৫ সেরা সিনেমা

একাধিক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন সময়ে কর্মরত ছিলেন শীর্ষবাবু। জার্মানিতে ডয়েশভেল বেতারের বাংলা বিভাগেও কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত সাহিত্যচর্চাও করতেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম ‘শার্দূল সুন্দরী’। বাংলা সার্কাসজগতের অন্যতম কিংবদন্তি প্রিয়নাথ বসু, জাদুকর গণপতি চক্রবর্তী ও বাঘের খেলা দেখানো সুশীলা সুন্দরীকে নিয়ে লেখা সেই উপন্যাস তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ‘রোববার’ পত্রিকায় লেখা ‘দ্রোহকাল’ও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এছাড়াও তিনি লিখেছেন বহু উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ।   তাঁর লেখা উপন্যাস ও ছেটগল্পও জনপ্রিয় ছিল পাঠকদের মধ্যে। তাঁর মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৪।

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলা সংস্কৃতি ও সংবাদমাধ্যমের জগতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রয়াত লেখকের মৃত্যুতে তাঁদের শোকবার্তা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: অনলাইন রিলিজের পথে হাঁটল বিদ্যা বালানের ‘শেরনি’, দেখুন ফার্স্টলুক…

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest