প্রতিশ্রুতি রাখলেন Mamata, ৫০ বছর পর রাজ্যে ফিরছে বিধান পরিষদ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিধানসভা ভোটে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা সময় মমতা ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় ফেরার পর বিধান পরিষদ গঠন করা হবে। অনেকেই টিকিট পাননি, তাঁরা বিধান পরিষদের সদস্য হতে পারবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাবের পড়ল শিলমোহর।

এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে থাকতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে ফের বৈঠক হতে চলেছে ২৪ মে। তবে বৈঠকের নীতিমালায় অনুমোদন দেওয়ার জন্য ফোনে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয় বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব। এবার বিধানসভায় বিল আনতে হবে রাজ্যকে। তার পর লাগবে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর।

রাজ্যসভা ও লোকসভার মতোই দ্বিকক্ষ আইনসভার উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদ এবং নিম্নকক্ষ বিধানসভা। ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিধান পরিষদ বিলোপ করা হয়েছিল। ফলে সব ঠিকঠাক থাকলে ৫০ বছর পর বিধান পরিষদ ফিরছে বাংলায়। বর্তমানে ভারতের মোট ৭ টি অঙ্গরাজ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার অস্তিত্ব আছে। সেগুলি হল, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং জম্মু ও কাশ্মীর। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তেলুগু দেশম পার্টি জানিয়েছে, ক্ষমতায় এলে তারা আবার বিধান পরিষদ অবলুপ্ত করবে। পঞ্জাবে অকালি দল-বিজেপি জোট ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল বিধান পরিষদ পুনরায় গঠন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: West Bengal Lockdown: লকডাউন উপেক্ষা করায় গ্রেফতার বিজেপির ৩ বিধায়ক

বিধান পরিষদের গুরুত্ব ও ক্ষমতা কী?

ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার কোনও অবস্থাতেই তা ৪০-এর কমও হবে না। বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ৬ বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতি ২ বছর অন্তর বিধান পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করে থাকেন।

বিধান পরিষদের আইনি ক্ষমতা কী?

অর্থবিল ছাড়া যে কোন বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায়। বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনো বিলকে বিধান পরিষদ সর্বাধিক ৪ মাস পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে।

বিধান পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা কী?

অর্থ বিল বিধান পরিষদে উত্থাপন করা যায় না। বিধান পরিষদের অর্থ সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে।

বিধান পরিষদের শাসন ক্ষমতা কী?

সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের মন্ত্রীসভা শুধুমাত্র নিম্নকক্ষ অর্থাৎ বিধানসভার কাছেই দায়বদ্ধ। ফলে শাসন সংক্রান্তও তেমন ক্ষমতা নেই বিধান পরিষদের।

আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে আমফানের চেয়েও ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’! চলতি সপ্তাহেই আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবনে

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest