Noble: Mainul Ahsan Noble sent to Rehab after his recent fourth wife left him

Noble: চতুর্থ স্ত্রী গেলেন বাপের বাড়ি, নোবেল ফের গেলেন রিহ্যাবে

মাত্র সাত দিন আগেই সুখবর দিয়েছিলেন মাইনুল আহসান নোবেল। তৃতীয় স্ত্রী সালসবিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের ছয় মাসের মাথাতেই ঘরে এনেছিলেন চতুর্থ স্ত্রীকে। ফারজানা আরশি নামে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গায়ক নিজেই জানিয়েছিলেন বিয়ের কথা। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বাপের বাড়ি চলে গেলেন আরশি। আর নোবেলকে রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে দিয়ে এলেন বাড়ির লোক।

তৃতীয় বিয়ে যখন ভাঙে নোবেলের, তখন তাঁর স্ত্রী যে যে অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল নোবেলের মাত্রারিক্ত মাদকসেবন। কিছু দিন আগেই কুড়িগ্রামে একটি কনসার্টে গিয়ে মাতাল অবস্থায় মঞ্চে ওঠেন নোবেল। সেখানে জড়ানো কণ্ঠে গান গাইতে শুরু করলে দর্শকরা জলের বোতল ছুড়ে মারেন তাঁকে। তার পরই তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। তার পর নোবেল দাবি করেন, তিনি বিয়ে করেছেন ফারজানা আরশিকে।

যদিও সেই বিয়ে নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, আরশি ফুড ভ্লগার নাদিম আহমেদের স্ত্রী। নাদিমের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করেই নোবেলের সঙ্গে আরশি গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। এমনকী, সালসাবিল জানিয়েছিলেন, এমনও হতে পারে যে নোবেল জোর করে তুলে নিয়ে গেছেন আরশিকে। তিনি একথাও জানিয়েছিলেন, নাদিম আহমেদ স্ত্রীকে ফিরে পেতে আগ্রহী। নোবেলের চতুর্থ বিয়ে কতদিন টেকে সে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন সালসাবিল। কার্যক্ষেত্র দেখা গেল সাত দিনও টিকল না গায়কের বিয়ে।

আরশি নিজেই জানিয়েছেন তিনি খুলনায় বাপের বাড়িতে চলে গেছেন। অন্যদিকে মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত করতে নোবেল কে ঢাকার একটি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে ভর্তি করে দিয়েছেন বাড়ির লোক।

অন্য দিকে, গায়কের চতুর্থ স্ত্রী ফারজানা ঢাকা ছেড়ে নিজের বাড়ি খুলনায় ফিরে গিয়েছেন। খুলনায় ফিরে গিয়ে আরশি ফেসবুকে লেখেন, ‘‘আমি আমার বাড়ি খুলনাতে আছি। না জেনে উল্টোপালটা খবর ছড়াবেন না প্লিজ। আজকে যদি আমি নাদিমের সঙ্গে সব কিছু শেষ করে যেতাম, তা হলে কেউ কিছুই জানতে পারত না? আমি কি এতটাই বোকা? আমি জানি না যে, নোবেল এই ছবি পোস্ট করলে কতটা ঝামেলা হবে? বিশ্বাস করুন এ সবে আমার হাত ছিল না।’’