আগেই হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ রক্তবাহিত হেপাটাইটিস আক্রান্তের ক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা যেত না। অবশেষে সেই রহস্যভেদ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে (মেডিসিন) নোবেল পেলেন দুই মার্কিন গবেষক হার্ভে জে অল্টার, চার্লস এম রাইস এবং ব্রিটিশ গবেষক মাইকেল হিউটন। তাঁদের সৌজন্যেই এতদিনে ক্রনিক হেপাটাইটিসের প্রকৃত কারণ বোঝা গেল।
সোমবার দুপুরের দিকে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) নোবেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য ২০২০ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে একসঙ্গে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন হার্ভে জে অল্টার, মাইকেল হিউটন এবং চার্লস এম রাইস।’
আরও পড়ুন : ‘তোমার দেহের প্রতিটা ইঞ্চি ভোগ করব’, ইমনকে অশ্লীল আক্রমণ ‘ছোটোলোক’ নেট নাগরিকের
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের সূত্রে চিকিৎসায় নোবেল এ বার অলটার-সহ তিন জনের। বাকি দু’জন হলেন মাইকেল হাওটন ও চার্লস এম রাইস। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, পুরস্কারের ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার (১১.১৮ লক্ষ ডলারের বেশি) সমান ভাবে ভাগ হবে তিন জনের মধ্যে।
BREAKING NEWS:
The 2020 #NobelPrize in Physiology or Medicine has been awarded jointly to Harvey J. Alter, Michael Houghton and Charles M. Rice “for the discovery of Hepatitis C virus.” pic.twitter.com/MDHPmbiFmS— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 5, 2020
তিন নোবেলজয়ীর গবেষণার ক্ষেত্র ব্যাখ্যা করে নোবেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রক্ত সঞ্চালন সংক্রান্ত পদ্ধতিগত গবেষণার মাধ্যমে মার্কিন গবেষক হার্ভে জে অল্টার একটি অজানা ভাইরাসকে চিহ্নিত করেছেন। যা ক্রনিক হেপাটাইটিসের মূল কারণ। ব্রিটিশ গবেষক মাইকেল হিউটন আবার সেই নয়া ভাইরাসের জেনোমকে পৃথক করেছেন। যে ভাইরাসের নাম হেপাটাইটিস ‘সি’। অন্যদিকে, অল্টারের দেশের অপর গবেষক চার্লস এম রাইস চূড়ান্ত প্রমাণ দিয়েছে। তা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে হেপাটাইটিস ‘সি’ নিজেই হেপাটাইটিস ছড়াতে পারে।
লিভারের নানা সমস্যা তৈরি করা হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের সন্ধান মিলেছিল গত শতকের চল্লিশের দশকে। ষাটের দশকে বিজ্ঞানী বারুচ ব্লুমবার্গ আবিষ্কার করেন হেপাটাইটিস বি। দেখান রক্তবাহিত এই ভাইরাসের সংক্রমণ আরও মারাত্মক ও তার থেকে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যানসার হতে পারে। তার জন্য ১৯৭৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। সেই একই গোত্রের, ফ্ল্যাভিভাইরাস পরিবারের আরও একটি আরএনএ ভাইরাসের সন্ধান দেন অলটার, হাওটন ও রাইস। এখন যাকে হেপাটাইটিস সি বলা হয়। এর খোঁজ পাওয়ায় সঠিক চিকিৎসার পথ পেয়েছেন ডাক্তারেরা। বাঁচানো গিয়েছে লক্ষ লক্ষ রোগীকে।
আরও পড়ুন : এবার পুজোয় ট্রেন্ডিং কাফতান ড্রেস, আপনার শপিং লিস্টে আছে তো?