Kerala high court restrains centre from taking coercive action against news broadcasters under new IT Rules.

নয়া আইটি নিয়ম না মানলেও খবর সম্প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়,নির্দেশ আদালতের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বেশ কিছু দিন ধরে টুইটারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে কেন্দ্রের। একসময় ফেসবুক ও টুইটারের সঙ্গে ভালোই খাতির ছিল মোদী সরকারের। কিন্তু সেই প্রেম আর নেই। এখন সোসাইল সাইটে যে বিজেপি বিরোধিতা তা মোদী সরকারকে চিন্তায় ফেলেছে। অনেকের অভিযোগ মিডিয়া হাউসগুলোকে মোদী সরকার কব্জা করে ফেলেছে। কিন্তু সোসাইল সাইটকে এই ফর্মুলায় কব্জা করা যাচ্ছে না। ফলে নতুন করে আইন বানিয়ে তাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে।তা নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। সেই মালার পরিপ্রেক্ষিতেই কেরল হাইকোর্ট জানিয়েছে আইটি নিয়ম না মানলেও কোনও সংবাদ সম্প্রচারকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন: আদালতে নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করেছেন, অথচ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে নাচতে দেখা গেল বিয়ের আসরে

নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের দাখিল করা এক মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। সরকারকে এই নিয়ম খুব বেশি ক্ষমতা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি পিবি সুরেশ। পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই নয়া নিয়ম অযৌক্তিক ভাবে অনেক ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, নয়া নিয়মে বলা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে একজন কমপ্লায়েন্স অফিসার বা অভিযোগ গ্রহণকারী অফিসার নিয়োগ করতে হবে। আর তাঁকে অবশ্যই ভারতের হতে হবে। এই আওতায় মিডিয়া সংস্থাগুলিকেও রাখার কথা বলা হয়েছিল। তবে আইটি আইনে সংবাদ সংস্থার কোনও উল্লেখ নেই। এই যুক্তিতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নিউজ ব্রডকাস্টার অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি আবেদনকারীদের অভিযোগ, এই নয়া আইন সংবিধানের ১৪ এবং ১৯(১)(জি) নম্বর ধারাকে খর্ব করছে।

এদিকে অপর এক মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন না মানলে টুইটারকে কোনওরকম আইনি সুরক্ষা দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, গ্রিভেন্স অফিসার নিয়োগের জন্য টুইটারের তরফে ৮ সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছিল। তবে আদালত সেই দাবি মানেনি। এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়েই অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইটার প্রসঙ্গে বলেন, ভারতে বসবাস ও কাজ করতে গেলে দেশের নিয়ম মানতে হবে।

অনেকে বলছেন মোদী সরকার দেশ, বিজেপি, সরকার এবং মোদীকে সমার্থক করে দেখতে চাইছে। ফলে বিজেপির সমালোচনাকে কিংবা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনাকে তারা দেশের সমালোচনা বলে দেখতে চাইছে। এতে তাদের সুবিধা হবে। তারা তখন দেশের নিরাপত্তার ধুয়ো তুলে মানুষের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: সকালে নাকি রাতে, কোন সময়ে শারীরিক সম্পর্ক সুস্বাস্থ্যের ইঙ্গিত দেয়?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest