Lucknow boy shoots dead mother from father's pistol for stopping him from playing PUBG

PubG: পাবজি খেলতে বাধা ঘুমন্ত মায়ের মাথায় গুলি কিশোরের

পাবজি (PUBG) খেলতে বাধা। ঘুমন্ত মায়ের মাথায় গুলি (Firing) করে খুন (Murder) করল কিশোর। তারপর সেই মৃতদেহ দুদিন ধরে বাড়িতেই লুকিয়ে রাখে সে। এমনকি মৃতদেহ থেকে যাতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে না পড়ে, তাই ব্যবহার করতে থাকে এয়ার ফ্রেশনার। এমনই হাড়হিম করা ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে (Lucknow)।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সাধনা দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর ৩টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে থাকা নবীনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল বের করে মায়ের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই সাধনার মৃত্যু হয়। এর পরই ছোট বোনকে হুমকি দিয়ে অন্য ঘরে শুতে চলে যায় অভিযুক্ত। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বোনকে আবারও হুমকি দেয় সে। অভিযুক্তের বোন পুলিশকে জানিয়েছে, এই দু’দিনে অভিযুক্ত বার বার মায়ের মৃত দেহের ঘরে যেত এবং দুর্গন্ধ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য সুগন্ধী ব্যবহার করত। কিন্তু মঙ্গলবার দুর্গন্ধ মাত্রা ছাড়ালে অভিযুক্ত কিশোর তার বাবা নবীনকে ফোন করে বলে যে, তাদের মাকে কেউ বা কারা খুন করেছে এবং আততায়ীরা তাদের দুই ভাই-বোনকে ঘরে আটকে রেখেছে। এর পরই নবীন প্রতিবেশী দীনেশ তিওয়ারিকে ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন। দীনেশই তাঁদের ঘরে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।

আরও পড়ুন: LPG Cylinder Price: একলাফে ১৩৫ টাকা কমল LPG-র দাম, কলকাতায় কততে বিকোচ্ছে

নিজের অপরাধ ঢাকতে মিথ্যে গল্প ফাঁদে ওই কিশোর। বাবার কাছে সে দাবি করে যে, বাড়িতে একজন ইলেক্ট্রিকের মিস্ত্রি কাজে এসেছিল। সে-ই গুলি করে খুন করেছে মাকে। একথা বলে পুলিসকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে ওই কিশোর। যদিও পরে তদন্তে সামনে আসে গোটা ঘটনা। পুলিস অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিসি জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে ১৬ বছরের ওই কিশোর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত নাবালক জানিয়েছে যে, সে সবসময় পাবজি খেলতো বলে তার মা তাকে মারধর করত। এমনকি, ঘটনার দিন তাদের ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা চুরি যাওয়ায় সেই দোষও তার ঘাড়ে এসে প়ড়ে। এই নিয়েও তার মা তাকে সন্দেহ করে এবং মারধর করে। এছাড়াও বা়ড়িতে কিছু হলে তার মা তাকেই মারধর করত এবং শাসন করত বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু শনিবার মায়ের কাছে মার খাওয়ার পরই অভিযুক্ত তার মা-কে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। মৃতার স্বামী ইতিমধ্যেই আসানসোল থেকে লখনউ রওনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: নবীর অপমান ফুঁসছে আরবমুলুক , লজ্জায় মাথা হেঁট নয়াদিল্লির, ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক