Mahua Moitra’s reaction after being expelled from Lok Sabha

Mahua Moitra: …তোদের চিতা আমি তুলবই’, বহিষ্কারের পর লোকসভার বাইরে হুঙ্কার মহুয়ার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লোকসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে যে বহিষ্কার করা হবে তা ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মহুয়াও হয়তো সে জন্য প্রস্তুতই ছিলেন। এদিন লোকসভায় ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে মহুয়াকে বহিষ্কারের প্রস্তাব পাশ হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কৃষ্ণনগরের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ। সুকান্তকে উদ্ধৃত করে প্রতিশোধের বার্তা দিয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ। বলে গেলেন,”আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই।’

‘প্রশ্নঘুষ’কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তারা শুক্রবার জমা দেয়। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির তরফেও স্পিকারের কাছে সময়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার সময় দেননি। পরে সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে এসে মহুয়া বলেন, “আমাকে কোনও কথা বলার সুযোগ দিয়ে এক তরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” মহুয়ার দাবি, তাঁকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে এথিক্স কমিটির সুপারিশ করার কোনও অধিকার নেই। তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, এই নীতি কমিটির কোনও নীতিই নেই।

মহুয়া এদিন বলেন, “এথিক্স কমিটি ক্যাশ ফর কোশ্চেনের অভিযোগ তুলছে। অথচ, কোথাও কোনও ক্যাশের লেনদেনের প্রমাণ মেলেনি। আমাকে বলা হয়েছে, আমি লোকসভার লগ ইন আইডি ব্যবসায়ীকে দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু সংসদের নিয়মে কোথাও লেখা নেই যে এটা অনৈতিক।” তৃণমূল সাংসদের সাফ কথা, মোদী সরকার যদি ভেবে থাকে যে এভাবে আদানি (Adani Group) ইস্যু দমিয়ে রাখা যাবে, তাহলে ভুল ভাবছে। এই ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে গোটা দেশ বুঝে গেল, আদানিকে বাঁচানোর জন্য মোদী সরকার কতদূর যেতে পারে। আজ গোটা দেশ বুঝে গেল আদানি মোদীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কাল হয়তো আমার বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হবে। হয়তো আগামী ৬ আস আমাকে হেনস্তা করা হবে। কিন্তু আমি প্রশ্ন করবই।”

মহুয়ার আরও বলেন,, ”ভরা সংসদে দাঁড়িয়ে বিজেপির রমেশ বিধুরি (Ramesh Bidhuri) দানিশ আলিকে বলে গেলেন, তুই মোল্লা, তুই নপুংসক, তুই কাটুয়া- তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। অথচ আমাকে বহিষ্কৃত করা হল কীসের ভিত্তিতে? বিদায়বেলায় প্রত্যয়ের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূল সাংসদের গলায়। তিনি বলে গিয়েছেন, “আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর লড়াই করব। আমি ফিরব। শেষ দেখে ছাড়ব।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest