PM Narendra Modi and bangladesh PM sheikh Hasina in Joint press conference

India-Bangladesh MoU: মোদী-হাসিনার বৈঠকে সাতটি মউ স্বাক্ষর, জল বণ্টন নিয়ে স্বাক্ষরিত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশে তৈরি হতে চলেছে সেই দেশের সবথেকে বড় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মঙ্গলবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষর হয়েছে। সূত্রের খবর, ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশন’টি ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার হতে চলেছে। বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এই তাপবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করবে। এটি হল ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ৫০:৫০ অংশিদারিত্বের এক যৌথ উদ্যোগ। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন-সঙ্গী এবং বাণিজ্যিক অংশীদার বলে উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতি দিন উন্নত হচ্ছে।’’ এর পরই বাংলাদেশকে ভারত কোন কোন বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে, তার ঘোষণা করেন মোদী।দুই রাষ্ট্রনায়কের সই করা সাতটি চুক্তির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের নদী কুশিয়ারার জলবণ্টন নিয়ে চুক্তিটি। এ ব্যাপারে ‘একটি জরুরি মউ স্বাক্ষর হয়েছে’ বলে ঘোষণা করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি, তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দু’দেশ পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলব। ‘ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়। উভয় দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সাথে যুক্ত এই নদীগুলি। এই আবহে আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর জল বণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।’’

আরও পড়ুন: Gautam Adani এখন বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম ব্যক্তি! এই রেকর্ড এখনও অধরা মুকেশ আম্বানির

তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ কয়েক দশকের আলোচনা এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং হাসিনা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বন্যা প্রশমনে একে অপরের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা বাংলাদেশের সাথে বন্যা সংক্রান্ত রিয়েল-টাইম ডেটা শেয়ার করছি এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা করেছি। এটা অপরিহার্য। আমরা একসাথে সেই শক্তির মোকাবিলা করি যারা আমাদের প্রতিপক্ষ।’ মোদী-হাসিনা আরও বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। আমরা তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ ও পারমাণবিক খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়েও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।’

মঙ্গলবার যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন হাসিনা, তা আগেই জানানো হয়েছিল। হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠক হয় দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর। তার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনে দাঁড়িয়ে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন হাসিনা।

আরও পড়ুন: Cyrus Mistry: আড়াই লক্ষ কোটির সম্পত্তি! সাইরাসের পর সাপুরজি-পালোনজি গোষ্ঠীর রাশ ধরবেন কে?

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest