সারা বিশ্বের সবথেকে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে অন্যতম বলিউড (bollywood)। প্রতি বছর হলিউডের থেকেও বেশি ছবি তৈরি হয় বলিউডে। বহু নামজাদা অভিনেত্রীদের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ‘বিতর্ক’ শব্দটা। অনেকেই আপত্তিজনক অবস্থায় ধরা পড়েছেন হাতে নাতেও।আজ আমরা কথা বলবো সেই সব বিতর্কে জড়ানো অভিনেত্রীদের নিয়েই।
মমতা কুলকার্নি– বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। আশিক আওয়ারা, ক্রান্তিবীর সহ বেশ কিছু হিট ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন সিনেপ্রেমীদের। ১৯৯১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মমতা। পরিচালক রাজ কুমার সন্তোষীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অভদ্রতার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রী। এরপরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলিউড থেকে। পরে মধুচক্র চালানো, মাদক পাচারের মত অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিপাশা বাসু– বলিউডে এক সময় রীতিমতো রাজ করেছেন বিপাশা। একের পর এক ছবিতে দাপুটে অভিনয়, সেই সঙ্গে বহু বিতর্কও জড়িয়েছে তাঁর নামের সঙ্গে।তবে সব কিছু ছাপিয়ে যে গুঞ্জনের জন্য খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন অভিনেত্রী তা হল একটি ফোন কল। রাজনীতিবিদ অমর সিংয়ের সঙ্গে বিপাশার ‘বিতর্কিত’ কল রেকর্ডিং ফাঁস হয়ে যায়। সেই নিয়ে কার্যত তোলপাড় হয়েছিল টেলিভিশন ও খবরের কাগজ। রেকর্ডিংয়ে জানা যায়, বিপাশা নিজেই ফোন করেছেন অমরকে। এরপরেই অমর সিং বিপাশাকে জিজ্ঞাসা করেন, ওঁর মতো বয়স্ক মানুষকে এখনও মনে রেখেছেন তিনি? তা দেখে ভাল লেগেছে। উত্তরে বিপাশাকে বলতে শোনা যায়, তাঁর কাছে বয়সটা গুরুত্ব পায় না। তিনি সবসময়ই মনে রাখেন তাঁকে। এরপরেই সেই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করে বসেন অমর। তিনি বলেন, পায়ের ফাঁকে বয়স গুরুত্ব পায়। পরে অবশ্য জানা যায় ফোনকলটি ভুয়ো।
আরও পড়ুন: প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম, নওয়াজ প্রেমিকাদের সঙ্গে ফোনে ব্যস্ত ছিল, বিস্ফোরক স্ত্রী আলিয়া
রিয়া সেন– প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের নাতনি রিয়া বলিউডে বেশ পরিচিত নাম। ঝঙ্কার বিটস, শাদি নম্বর ১ এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ২০০৭ সালে অভিনেতা অস্মিত প্যাটেলের সঙ্গে রিয়ার একটি চুম্বনের এমএমএস ভাইরাল হয়ে যায়। পরে বিগ বসে অস্মিত প্যাটেল স্বীকার করেন এমএমএসটি আসল ছিল। তখন ফের ভাইরাল হয় তা।
শ্বেতা বসু প্রসাদ– জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের মধুচক্রে জড়িত থাকার বিষয়ে অনেকেই ওয়াকিবহাল। ২০১৪ সালে হায়দ্রাবাদের একটি হোটেল থেকে যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্বেতাকে গ্রেফতার করে পুলিস। অবশ্য এখন সেসব অতীত ভুলে নতুন করে সবকিছু শুরু করেছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসাবে ‘মাকড়ি’ ছবির জন্য জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ।
করিনা কাপুর খান– বলিউডের চিরকালীন হিট জুটিদের মধ্যে অন্যতম শাহিদ কাপুর ও করিনা কাপুর খান। একটা সময় এই দুজনকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না সিনেপ্রেমীদের। দীর্ঘদিন একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। ২০০৪ এ করিনা ও শাহিদের ঘনিষ্ঠ অবস্থার একটি এমএমএস তুমুল ভাইরাল হয়। দুজনেই যদিও অস্বীকার করেন সেটি কিন্তু বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা হয়।