Bengal Minister’s dismissed teacher daughter also appeared for college teacher’s interview

পরেশকন্যা অঙ্কিতার নাম লিস্টে! ইন্টারভিউ স্থগিত কলেজ সার্ভিস কমিশনের

নিয়োগ বিতর্কের মধ্যে জুন মাসে কলেজ সার্ভিস কমিশনের (College Service Commission) ইন্টারভিউ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কলেজ সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জুন মাসে ইন্টারভিউ (Interview) স্থগিত রাখা হবে। ইন্টারভিউ হবে জুলাই মাসে। কমিশনের দফতর সংস্কারের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামহলে। কারণ, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম ওই ইন্টারভিউয়ের তালিকায় রয়েছে। ঘটনাচক্রে, এসএসসি-তে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে অঙ্কিতার শিক্ষিকা পদে চাকরি পাওয়া নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন অঙ্কিতা। তাঁর বেতনও ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

সেই আবহেই কলেজ সার্ভিস কমিশনে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ যাঁরা দেবেন, তাঁদের তালিকায় অঙ্কিতার নাম দেখা গিয়েছে। যদিও এর মধ্যে কোনও যোগাযোগ রয়েছে, এমন কথা কেউই বলছেন না। বস্তুত, কোনও একটি চাকরি থেকে বরখাস্ত হলে (বা হওয়ার আগে) কেউ অন্যত্র চাকরির চেষ্টা করতে পারেবন না, এমন কোনও আইন বা রীতি নেই। কিন্তু যেহেতু অঙ্কিতা এবং তাঁর বাবা পরেশ অধুনা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে, তাই এই বিষয়টি নিয়েও শিক্ষা-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে ‘অস্বস্তি’ তৈরি হয়েছে।  যদিও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, এটা একেবারেই রুটিন সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে মন্ত্রী-কন্যার নামের কোনও সম্পর্ক নেই। পরিকাঠামোগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে কাপড়ের দোকানে বিধ্বংসী আগুন, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

স্কুলে শিক্ষিকা পদের নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর অঙ্কিতাকে ইন্টারভিউয়ে ডাকায় কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যার প্রেক্ষিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে কলেজ সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তালিকায় যাঁর নাম রয়েছে, তিনি মন্ত্রী পরেশেরই কন্যা। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা। তবে এ ক্ষেত্রে কোনও ‘দুর্নীতি’র প্রশ্ন নেই।

সূত্রের খবর, গত ২৬ এপ্রিল ইন্টারভিউয়ের ডাকও পেয়েছিলেন পরেশ-কন্যা। তবে তিনি সেই ইন্টারভিউ দেননি। কমিশনের একটি সূত্রের বক্তব্য, অঙ্কিতা যোগ্য আবেদনকারী। তাই তাঁকে ডাকা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কোনও জল্পনার অবকাশ নেই। যোগ্যতা থাকলে কোনও প্রার্থীকে কেন ডাকা যাবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছিল কমিশন। আরও দাবি করা হয়েছিল, ইংরেজি বর্ণমালার অক্ষর অনুযায়ী ইন্টারভিউ দিতে ডাকা হয়েছিল। অঙ্কিতার নাম ইংরেজি ‘এ’ অক্ষর দিয়ে শুরু। তাই তাঁর নাম তালিকার প্রথমদিকে ছিল। কলেজ সার্ভিস কমিশনের কাছে সব আবেদনকারীই ‘সমান’ বলে দাবি করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। কিন্তু তাতেও ‘অস্বস্তি’ কাটেনি। সে কারণেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া এক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: Weather Update: কিছু ক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি! ৪০কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস