বরাবরই রাজ্যের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করার একটি সুযোগও ছাড়েননি যে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), এবার তাঁর গলাতেই অন্য সুর। ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করলেন বিজেপি সাংসদ (BJP MP)।
বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Yaas) বালেশ্বরে আছড়ে পড়লেও মঙ্গলবার রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। বুধবার ভোর থেকে দিঘার (Digha) পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াল রূপ ধারণ করছে। ক্রমশই বাড়ছে হাওয়ার বেগ। প্রায় ৩০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। নারকেল গাছের উপর দিয়ে সমুদ্রের ঢেউ গিয়েছে বলেও দাবি অনেকের।
আরও পড়ুন: বুধ ও বৃহস্পতি রাতে রাজ্যে প্লাবনের আশঙ্কা, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে বলব, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার প্রত্যেকটি হোটেল জলমগ্ন। এমনকী হোটেলের সামনে থাকা গাড়িও ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। দিঘা (Digha), শংকরপুরের বিস্তীর্ণ রাস্তা হয়ে গিয়েছে জলমগ্ন। নবান্ন (Nabanna) থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। আগেভাগেই উপকূলের প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। জনজীবন যাতে বিপর্যস্ত না হয় তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ‘যশ’ মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, “আমফানের (Amphan) অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাজ্য সরকার যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে ভাল কাজ করেছে। ঝড় নিয়ে উপকূলের মানুষকে সতর্ক করেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তবেই বোঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতি। তবে আপাতদৃষ্টিতে সব কিছু ঠিক হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।” আমফানের পর বারবার রাজ্যকে বিঁধেছে বিজেপি। ত্রাণ থেকে ক্ষতিপূরণ সবেতেই তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। সেই নেতার গলায় এবার অন্য সুর।
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া লাগাম ছাড়া, গাড়ি চালিয়ে মেয়ের দেহ শ্মশানে নিয়ে গেলেন বাবাই