তর্ক আগেই করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। সকাল থেকে তার প্রমাণ পেতে শুরু করেছে কলকাতা (Kolkata Weather Update)। সকাল থেকেই শহরের আকাশ মেঘলা। মাঝেমধ্যেই ঝমঝমিয়ে হচ্ছে বৃষ্টি। তবে কলকাতার জন্য আবহাওয়াবিদদের রয়েছে আরও সতর্কবার্তা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃহস্পতিবার সকালেও রয়েছে ভরা কোটাল। ফলে দুপুর ২.০৩ মিনিটে গঙ্গার জলস্তর হবে প্রায় ১৮ ফুট। ইয়াসের দাপট কমলেও আজও কলকাতার একাংশ জোয়ারের জলে ভাসার সম্ভাবনা। বেলা ১১.৩০ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লকগেট। এই সময়ে বৃষ্টি হলে কলকাতায় জমবে জল। পরে লকগেট খুললে নেমে যাবে জমে থাকা জল।
আরও পড়ুন : জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ঢুকেছে ঝাড়খণ্ডে। শক্তিক্ষয় হওয়ায় সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় শক্তি হারিয়ে পরিণত হবে নিম্নচাপে। এর প্রভাবেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসম ভবনের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় এখন উত্তর ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করছে। অভিমুখ ঝাড়খণ্ডের দিকে।
সকাল ৮.৩০ মিনিটের বুলেটিনে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক ঘণ্টায় দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। সঙ্গে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই সবই ইয়াসের প্রভাবেই। কারণ ইয়াস ক্রমশ শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। এর প্রভাবেই ঝাড়খণ্ড ও বিহার লাগোয়া এ রাজ্যের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
গত ২৪ মে সোমবার বঙ্গোপসাগরের বুকে জন্ম হয়েছিল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, সময়টা ছিল সকালে সাড়ে ৮টা। ৬৩ ঘণ্টার জীবনচক্র পেরিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় তা শেষ হয়ে গিয়েছে। আপাতত বুধে তার ধ্বংসলীলার পর বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিপর্যস্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন গ্রামের পর গ্রাম। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। উদ্ধারকার্যে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রকোপে সেচ, কৃষি ও মৎস্যক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বুধবারই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “১২৪টি বাঁধ ভেঙে গেছে। ৩ লক্ষেরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ১ কোটি মানুষ দুর্যোগে আক্রান্ত। ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। ১৪ হাজার রিলিফ ক্যাম্প গঠন করা হয়েছে। ১০ লক্ষ ত্রিপল, রিলিফ – ১০ কোটি টাকার রিলিফ পাঠানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিউ ব্যারাকপুরে, ভস্মীভূত ওষুধের দোকান এবং গেঞ্জি কারখানা