শুভেন্দুর খাসতালুক থেকেই জেলা সফরের শুরু করছেন মমতা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নজরে একুশের বিধানসভা ভোট। ‘বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবার রাজনৈতিক প্রচারে নামছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ ডিসেম্বর তিনি জনসভা করবেন মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। জনসভায় হাজির থাকবেন দুই মেদিনীপুরের সব তৃণমূল বিধায়করা। এই মেদিনীপুর কলেজ মাঠ আবার শুভেন্দু অধিকারী খাসতালুক হিসেবেও পরিচিত। প্রস্তুতি তুঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক মহলে।

শুক্রবার রাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরই ৭ ডিসেম্বর থেকে টানা জেলা সফরের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি সেই জেলা সফর শুরু করছেন সদ্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ–করা শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাটি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে। জানা গিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর, সোমবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা। সেই সভা সেরে তাঁর বর্ধমানে যাওয়ার কথা। সেখানে দুর্গাপুরে তিনি রাজনৈতিক জনসভা করতে পারেন।

আরও পড়ুন: সোমবার উদ্বোধনের দিন ঘোষণা,৩ ডিসেম্বর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

ভোটের মুখে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সংগঠনের হালহকিকৎ বুঝতে নিতে এবার নিজেই আসরে নামলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডেকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পরেই জানা যায়, আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ফের জেলা সফরে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যাবেন বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহে।

একসময়ে এই পাঁচ জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সাম্প্রতিক কালে দলের ব্যানার ছাড়াই বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতেও ওই জেলাগুলিতে গিয়েছিলেন তিনি। বস্তুত, শুক্রবারের বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনা ও রাজ্যের উন্নয়নকে তুলে তৃণমূলকর্মীদেরও রাস্তার নামার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘‌বাংলাকে গুজরাট হতে দেব না’‌— এই স্লোগানকে সামনে রেখেই ৭ ডিসেম্বর থেকে প্রচারে নামতে চলেছেন মমতা। সম্প্রতি বাঁকুড়ায় দিয়ে কোভিড পরিস্থিতি প্রথম জনসভা করেন মমতা। তাতে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সারা পশ্চিমবঙ্গে আমি একজন কর্মী হিসেবে আমিই এখন অবসার্ভার।

প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে, কে কী করছে বা না করছে, আর কার সঙ্গে কে যোগাযোগ রাখছে, কে কে যোগাযোগ করছে— তার সবটার হিসেব আমি রাখি। দল আমাকে সাহায্য করছে।’‌ আর তার পরপরই মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু। যদিও এই নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে মাথা ঘামাতে নিষেধ করেছেন নেত্রী। কে থাকল, না থাকল, তাতে গুরুত্ব না দিয়ে অবিলম্বে আন্দোলনে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন: বরুণ-সারার হাত ধরে ফিরছে ‘কুলি নম্বর ১’, ট্রেলারে ‘ডিজলাইক’ অপশন বন্ধ রেখে নেটদুনিয়ার নিশানায়

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest