Pallavi was supposed to witness the registry marriage of Sagnik and Sukanya

সাগ্নিক-সুকন্যার রেজিস্ট্রি বিয়েতে সাক্ষী হওয়ার কথা ছিল পল্লবীরই

সব জানতেন পল্লবী(pallavi dey)। জেনেবুঝেই ‘বন্ধু’র হবু স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী(pallavi dey bengali actress) ।তাঁর অস্বাভাবিক মৃ্ত্যু নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে তখন এই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুললেন সাগ্নিকের ‘স্ত্রী’ সুকন্যা। তিনি বলেন, সাগ্নিক কাউকে মেরে ফেলতে পারে না।

সুকন্যা জানিয়েছেন, পল্লবী আসলে তাঁরই বন্ধু ছিলেন। যে ঐন্দ্রিলার নামে সাগ্নিকের সম্পর্কের অভিযোগ করেছেন পল্লবীর বাবা-মা, সেই ঐন্দ্রিলাকেও ১০-১২ বছর ধরে চেনেন তিনি। তাঁরা দীর্ঘদিন পরষ্পরের সঙ্গে পরিচিত। এমনকি, সাগ্নিকের সঙ্গে যখন তাঁর বিয়ের ঠিক হয়, তখন রেজিস্ট্রি বিয়েতে সাক্ষী হওয়ার কথা ছিল পল্লবীরই। বিয়ের নোটিসে তার নামও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বিয়ে হয়নি ওই পল্লবীর জন্যই তখন বিয়েটা হয়নি ।
সুকন্যা বলেন,’আমার অবর্তমানে ওরা মেলামেশা করত। আমি সেটা বুঝতে পারি।’ বাধ্য হয়েই ‘ত্রিকোন সম্পর্ক’ থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল, ‘সাগ্নিকের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্যই ওঁর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পল্লবী।’

গত কয়েকদিন ধরে যে ভাবে পল্লবীর মৃত্যুর জন্য সাগ্নিককে(pallavi dey and sagnik chakraborty) দায়ী করা হচ্ছে তা-ও মানতে পারেননি সুকন্যা। তিনি বলেন, আমি খবরে থাকতে ভালবাসি না। পল্লবী-সাগ্নিকের কথা জানার পরও চুপচাপই সরে এসেছিলাম। কিন্তু গত দু’দিনে সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আনা খুনের অভিযোগ এবং সাগ্নিককে পল্লবীর পরিবারের দোষী সাজানোর চেষ্টা দেখে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি।

সুকন্যা জানিয়েছেন, পল্লবীর টাকা আত্মসাৎ করা তো দূর , বরং পল্লবীর পরিবারেরই খরচ যোগাতেন সাগ্নিক। সুকন্যা জানিয়েছেন, পল্লবীর বাবার ঝালমুড়ির দোকান। ওঁর ভাইও তেমন কিছু করত না। পল্লবী যা কাজ করত, তাতে ওঁর পক্ষেও বিপুল টাকা উপার্জন করা বা দামি গাড়ি উপহার দেওয়া সম্ভব ছিল না। আমার ধারণা, টাকা আত্মসাৎ করার যে অভিযোগ সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে তা সত্যি হতে পারে না। উল্টে পল্লবীর সংসার সাগ্নিকই চালাত ।