10 essential tips to nail the traditional bengali bridal look

Bridal Look: কনের সাজে সাবেকিয়ানা আনতে চান? এই ১০ জিনিস রাখুন আপনার মেকআপ লিস্টে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রতিটা মেয়েই বিয়ের দিনের স্বপ্ন মনের মধ্যে লালন করে বহু বছর ধরে। বিশেষত বিয়ের দিনের সাজ। ছোটবেলায় কোনও আত্মীয়ের বিয়েতে দেখা নতুন বউয়ের সাজ গেঁথে থাকে অনেক মেয়ের মধ্যেই। বিয়ের ওই লাল ওড়নার প্রতি বাচ্চা মেয়েদের বেশ আকর্ষণ থাকে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সে সব ভাবনা। ট্র্যাডিশন্যালের বাইরে এসে অনেকেই যেন আধুনিকা হয়ে ওঠেন তেমনই আবার অনেকেই আঁকড়ে থাকতে চান ওই লাল বেনারসী, লাল ব্লাউজেই।

প্রিয়তমের চোখে মুগ্ধতা দেখতে আর প্রিয়জনদের প্রশংসা কুড়োতে কনে সেজে উঠুক সাবেকি বঙ্গবধূর সাজে। সঙ্গে থাক এই ৭ টিপস!

মুকুট: বাঙালি লুকে নিজেকে সাজাতে গেলে প্রথমেই যেটা জোগাড় করতে হবে, তা হল মুকুট। সাদা শোলার মধ্যে লাল বা গোল্ডেন রঙ দিয়ে কলকা করা এই মুকুট মাথায় দিলেই অদ্ভুত সুন্দর লাগে। অনেকের মতে, শুধু দেখতে সুন্দর হওয়াই নয়, বাংলার সংস্কৃতিও মিশে রয়েছে মুকুটের ডিজাইন আর ব্যবহারে।

আলতা: আজও বাংলার গ্রামে গ্রামে বা একটু বয়স্ক মহিলাদের মধ্যে আলতা পরার চল রয়েছে। পায়ে এবং হাতে- দুই জায়গাতেই আলতা পরে থাকেন অনেকে। বিশেষ করে পুজো বা কোনও পার্বণ থাকলে এই রীতি মানেন গ্রামবাংলার একাংশ। তবে, বিয়েতেও আলতা পরার চল রয়েছে। হালফিলের আধুনিক স্টাইলে আলতার চল না থাকলেও বাঙালি ব্রাইডাল লুকে কিন্তু এর ব্যবহার মাস্ট।

সোনার গয়না: ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি রাজ্যেরই গয়নার ডিজাইন ভিন্ন। যে গয়না উত্তর ভারতে প্রসিদ্ধ, তা দক্ষিণে নয়। বা যা পূর্বে প্রসিদ্ধ, তা পশ্চিমে নয়। যোগাযোগের জেরে আজ সব একই হলেও ট্র্যাডিশনাল দিক থেকে পার্থক্য থেকেই যায়। বাংলার গয়নার নকশারও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা দেখলেই বোঝা যাবে। তা ছাড়াও বাঙালি কনেরা মূলত যে গয়না পরেন তার মধ্যে কানবালা, ঝুমকো, পাশা, সীতাহার, মানতাসা, লহরী রয়েছে। তাই বাঙালি কনের সাজে এই সব গয়নার অন্তত একটি থাকলে ভালো লাগবে।

নাকের নোলক: বাঙালির বিয়ের গয়নার তালিকায় নাকের নথের ব্যবহার বেশ পুরনো। এক সময় গোল নাকের নথ প্রায় সব বাঙালি বিয়েতেই দেখা যেত। কিন্তু সময় বদলেছে। বদলেছে সাজের ধরণও। বাঙালির নাকের নথের ডিজাইনের সঙ্গে মিশে গিয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন প্রদেশের নকশা। নথের পাশাপাশি যদি নাকের নীচে নোলক পড়েন, তা হলে মুখের আদলই বদলে যায়।

আরও পড়ুন: শাড়িতে বোল্ড লুক চান? ব্লাউজ ডিজাইনের আইডিয়া নিতে পারেন টলিউড নায়িকাদের থেকে

শাঁখা-পলা: আগেকার দিনে শাঁখা-পলা, শঙ্খ ও কোরাল বা পলা থেকে তৈরি হলেও বর্তমানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নকল উপাদান পাওয়া যায়। তবে, আসল-নকল যাই হোক, হাতে শাঁখা-পলা দেখলে বুঝতে হবে বাঙালি। তাই বাঙালি কনের হাতে এই দুই জিনিস থাকবে না, তা হতে পারে না। বিয়ের চিহ্ন এই শাঁখা-পলা ছাড়া বাঙালি ব্রাইডাল লুক অসম্পূর্ণ।

লোহা: শাঁখা-পলার সঙ্গেই বিয়ের অন্যতম চিহ্ন বলা হয় লোহাকে। কখনও এমনি লোহার একটা চুড়ি বা সোনা দিয়ে বাঁধানো চুড়ি পরা হয়ে থাকে।

টায়রা-টিকলি: অন্যান্য অলঙ্কারের সঙ্গে টায়রা-টিকলিও পরা হয়। যা কনেকে আরও সুন্দর করে তোলে।

বেনারসি: এই সব কিছু দিয়ে সাজিয়ে যদি বেনারসির বদলে অন্য শাড়ি পরানো হয়, তা হলে বাঙালি কনে লাগা স্বাভাবিক নয়। কারণ এই লুকের সব চেয়ে বড় উপাদানই হল বেনারসি। লাল টুকটুকে বেনারসি ছাড়া কনের সাজ ফিকে থেকে যায়। তাই সব কিছুর সঙ্গে সঙ্গে বেনারসি কিন্তু মাস্ট হ্যাভ!

চুটকি বা আংট: বিয়েতে হাতের আংটি তো রয়েছেই। কিন্তু তার সঙ্গে যদি পায়ের আঙুলে আংটি পরা যায়, তা হলে বেশ লাগবে কিন্তু। সোনা নয়, সাধারণত এই রূপো দিয়েই তৈরি করা হয় এগুলি।

কোমর বন্ধনী: কোমরে পরার এই অলঙ্কারটিও কিন্তু গয়নার ইতিহাসে বেশ পুরনো। বিশেষত মরাঠি সংস্কৃতিতে, কেরল ও অন্ধ্রে এই গয়নাটির ব্যবহার বেশি দেখা যায়। বাঙালি বিয়ের সাজে বেনারসীর সঙ্গে কোমর বন্ধনীর ব্যবহার নিমন্ত্রিতদের নজর কাড়বেই। শাড়ির সঙ্গে বেছে নিন পছন্দসই কোমর বন্ধনী। সোনালি বা রূপোলি, সরু বা চওড়া অথবা পাথর বসানো কোমর বন্ধনী সহজেই পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: Viral: চিকনের শাড়ির সঙ্গে মেহেন্দিতে আঁকা ব্লাউজ, শৌখিনীর সাহসী সাজে বিস্মিত নেটিজেনরা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest