Cosmetic Chemicals to Avoid During Pregnancy

Cosmetic Chemicals: গর্ভাবস্থায় কসমেটিক্স ব্যবহার করুন অতি সাবধানে, জানুন কোন জিনিসগুলি ক্ষতিকর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নিজেকে সাজাতে মেয়েরা ক্রিম, ফাউন্ডেশন, লিপস্টিক, নেইলপলিশ লাগায়। এখন ক্রিমেরও বিভিন্ন ধরন আছে। বলিরেখার ক্রিম, ব্রণ দূর করার ক্রিম, রং ফরসা করার ক্রিম, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম। আছে দাঁত সাদা করার পেস্ট। কিন্তু আপনি কি জানেন প্রেগন্যান্সির সময় এসব বিশেষায়িত প্রসাধনী ব্যবহার করলে আপনার বাচ্চার ওপর তা কি প্রভাব ফেলবে? গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে Retinoids, Lead, Parabens আছে এরকম কস্মেটিকস ব্যবহার করেলে দেহে হরমোনাল পরিবর্তন আসে যা অনগত বাচ্চাকে বিকলাঙ্গ, মানসিক ভাবে ভারসম্যহীন করতে পারে। তাই প্রেগনেন্সিতে নারীদের কিছু প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার না করাই উচিত অথবা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

১. প্যারাবেন (Paraben)

লোশন, ক্রিম, টোনার, ফাউন্ডেশনে এই উপাদানটি আছে। প্যারাবেন অনেক ধরনের হয়, যেমন প্রপেল প্যারাবেন (propyl paraben) মেথেল প্যারাবেন (methyl paraben) ইত্যাদি। সব প্যারাবেন-ই পরিহারযোগ্য। কসমেটিকসের গায়ে উপাদানে প্যারাবেন লেখা থাকলে সেটা ব্যবহার না করাই ভালো।

২. স্যালিসাইলিক এসিড, বিএইচএ বা বেটা হাইড্রোক্সিন এসডি (Salicylic Acid, BHA or beta hydroxyl Acid)

ব্রণ দূর করার ক্রিম, বলিরেখা দূর করার ক্রিমে মূলত এ উপাদানটি থাকে। এটি মুখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। অ্যাসপিরিনে যেহেতু স্যালিসাইলিক এসিড আছে, তাই এ সময় ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত অ্যাসপিরিন গ্রহণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্ল্যাকহেইডস দূর করার স্ক্রাবারে স্যালিসাইলিক এসিড থাকে।

৩. রেটিনল (Retinol)

রেটিনল একধরনের ভিটামিন এ। এটি বলিরেখা, ব্রণ দূর করে, ত্বকের কোলাজেনের সমতা রাখে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ বাচ্চার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ভিটামিন এ যুক্ত যেকোনো ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।

৪. থালেটস (Phthalates)

নেইলপলিস, পারফিউম, বডি স্প্রে, হেয়ার স্প্রে তৈরিতে এ উপাদান ব্যবহৃত হয়।  ২০০৫ এর একটি পরীক্ষাতে দেখা গিয়েছে যে Phthalates যারা বেশি গ্রহণ করে, তাদের অনাগত ছেলে সন্তানের জেনিটল এর ক্ষতিকর পরিবর্তন হতে পারে।

৫. হেয়ার রিমুভাল ক্রিম

প্রেগন্যান্সির সময় এমন কিছু কসমেটিকস ব্যবহার করা উচিত নয়, যা দেহে তাড়াতাড়ি অ্যাবজর্ব (শোষণ) করে এবং রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। প্রেগন্যান্ট নারীদের উচিত হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, পারফিউম ব্যবহার না করা।

৬. হোয়াইটেনিং টুথব্রাশ

প্যারোক্সাইড (Peroxide) হলো দাঁত ফরসাকারী পেস্টের মূল উপাদান। এটা যেহেতু ব্লিচিং প্রসেস, তাই পরিহার করাই ভালো। কিন্তু হোয়াইটেনিং টুথব্রাশ অনাগত বাচ্চার ওপর কতটুকু বিরূপ প্রভাব ফেলবে, সেটা নিয়ে এখনও ডেন্টিস্টরা সন্দিহান, কিন্তু ব্যবহার না করার পরামর্শই দিয়েছেন।

৭. সানস্ক্রিন লোশন

সানস্ক্রিন লোশনে অক্সিবেনজন (oxybenzone) থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সিবেনজন যুক্ত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহারকারীদের বাচ্চার ওজন কম হতে পারে। তা ছাড়া এই উপাদান প্রেগন্যান্সিতে হরমোনকে আরও স্পর্শকাতর বানাতে পারে।

৮. লেড (Lead)

লেড লিপস্টিক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি ক্যান্সার ও বাচ্চা বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। লিপস্টিকে লেড আছে কি না জানতে হাতে লিপস্টিক দিয়ে গোল্ডেন কয়েন দিয়ে ঘষে দেখুন। লিপস্টিকের রং কালো হলে বুঝবেন লেড আছে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest