সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবদের মায়ের সঙ্গে প্রতারণা, খোয়া গেল আড়াই কোটি টাকা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

প্রতারণার শিকার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের (SA Bobde) মা মুক্তা বোবদে। আড়াই কোটি টাকা চুরির দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বোবদে পরিবারের এক কেয়ারটেকারকে।

নাগপুরের সীতাবুল্ডি থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাপস ঘোষ নামক এক ব্যক্তিকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করে। তার স্ত্রীও এই অপরাধে যুক্ত ছিল বলে খবর। নাগপুরের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, তদন্তের ভার তাঁদের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, ডিসিপি বিনীতা শাহু বিষয়টি দেখছেন।

আরও পড়ুন: প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মা সুমিত্রা বড়াল

জানা গিয়েছে, বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়ার জন্য নাগপুরে আকাশবাণী স্কোয়ারে ‘সিজনস লন’ নামের একটি বাড়ি রয়েছে বোবদে পরিবারের। ২০০৭ সালে এই বাড়িটি দেখাশোনা করার জন্য মুক্তা বোবদে তাপস ঘোষকে নিয়োগ করেন। এর জন্য তাঁকে নিয়মিত মাইনে দেওয়া হত। এ ছাড়াও বিয়ের বুকিং করলে আরও কিছু আয়ও হত ঘোষের।

অভিযোগ, মুক্তা দেবীর বৃদ্ধ বয়সের সুবিধা নিয়ে ব্যাপক জালিয়াতি শুরু করে সে। ভাড়া বাবদ প্রাপ্ত অর্থের পুরো অংশ কখনওই জমা করত না সে। লকডাউনের সময় বুকিং বাতিল হলে ক্লায়েন্টরা টাকা ফেরত চাইতেই তছরুপের বিষয়টি ধরা পড়ে। তাপস টাকা ফেরত দিতে না পারায় মুক্তা বোবদের কাছে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়েই বোঝা যায় গত দু’বছর ধরে এই জালিয়াতি করে চলেছে তাপস। অন্তত আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে।

বহু ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অর্থের কোনও রসিদ দেয়নি ফলে রসিদ বইও ঠিকমতো দেখাশোনা করা হয়নি। এখানেই শেষ নয়, অনুষ্ঠান বাড়ির পাশে সোলার প্যানেল বসানোর অর্থ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা পকেটে পুরেছে সে। মুক্তা দেবী বৃদ্ধ এবং অশক্ত এই অজুহাত দেখিয়ে ব্যাংকে নিজেই অর্থ লেনদেন করার অনুরোধ করেছিল তাপস। সিপি জানিয়েছেন, টাকা পুনরুদ্ধার এখনও করা যায়নি, তবে খোঁজ চলছে।

বিপুল অঙ্কের জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হতে আগস্ট মাসে পুলিশের কাছে প্রতারনার অভিযোগ দায়ের করেন মুক্তা বোবদে। তারপর বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং ২০১৩ সাল থেকে সমস্ত বুকিংয়ের নথি খতিয়ে দেখা হয়। সেখানেই ধরা পড়ে যায় তাপস ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রী আড়াই কোটি টাকা চুরি করেছেন। এই ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ,রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest