Love Jihad : যাঁর সঙ্গে খুশি থাকতে পারেন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা, বলল দিল্লি হাইকোর্ট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ধর্ম নির্বিশেষে সঙ্গীর সঙ্গে জীবনযাপন মানুষের মৌলিক অধিকার। এবার একটি মামলার পরিপ্রক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট জানাল, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার ‘নিজের ইচ্ছায় যেখানে খুশি এবং যাঁর সঙ্গে খুশি থাকার স্বাধীনতা আছে।

‘লভ জিহাদ’ সংক্রান্ত এক মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ২০ বছরের এক মহিলাকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আদালত জানিয়েছে, এক জন সাবালক মহিলা যেখানে খুশি থাকতে পারে, যাঁর সঙ্গে ইচ্ছা থাকতে পারে।  ভিন ধর্মে বিয়ে রুখতে আইন আনার কথা ভাবছে দেশের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি। যা নিয়ে জাতীয় স্তরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

আরও পড়ুন: Bharat Bandh: কৃষকদের আটকাতে জলকামান -কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৎপর দিল্লি পুলিশ, সীমানায় সিআরপিএফ

মঙ্গলবার বিয়ের নামে ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে অধ্যাদেশও জারি করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই পরিস্থিতিতেই দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারকের বেঞ্চ এই রায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রবীণ নামে এক ব্যক্তির আবেদন শুনছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। যিনি দাবি করেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর বোন সুলেখাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সন্দেহভাজন হিসেবে বাবুলর নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি হাইকোর্টে সুলেখাকে পেশ করার আর্জি জানানো হয়।

ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সুলেখাকে হাইকোর্টে পেশ করা হয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি বিপিন সংঘি এবং বিচারপতি রজনীশ ভাটনগর। সুলেখা জানান, নিজের ইচ্ছায় বাবলুর সঙ্গে চলে গিয়েছেন এবং বাবলুকে বিয়ে করেছেন তিনি। হাইকোর্টের রেকর্ডে দু’জনকে প্রথম নাম দিয়েই চিহ্নিত করা হয়েছে।

২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করায় হাইকোর্ট জানায়, সুলেখা নাবালিকা নন। তাঁকে বাবলুর সঙ্গে থাকারও অনুমতি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট বলে, ‘প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় নিজের ইচ্ছায় যেখানে খুশি এবং যাঁর সঙ্গে খুশি থাকার স্বাধীনতা আছে সুলেখার।’ পাশাপাশি তাঁর নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। যাতে পরিবারিক হেনস্থার মুখে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য দম্পতিকে সুরক্ষা প্রদান করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের ‘লাভ জিহাদ’ সংক্রান্ত মামলার পরই এই রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। প্রিয়ঙ্কা খারওয়াড় নামে এক তরুণীকে গত বছর বিয়ে করেন সালামত আনসারি নামে এক ব্যক্তি। সালামতের শ্বশুরবাড়ির লোকের অভিযোগ, ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে তাঁদের মেয়েকে বিয়ে করেছেন সালামত।

প্রিয়ঙ্কার পরিবারের অভিযোগ খারিজ করে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছিল— কে হিন্দু, কে মুসলিম তা নিয়ে আদালতের মাথাব্যথা নেই। বিষয়টিকে এ ভাবে না দেখে দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের সম্পর্ক হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কে কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন, সেটা ওই দুই ব্যক্তির মৌলিক অধিকার।

আরও পড়ুন: মুখের ঘায়ে কষ্ট পাচ্ছেন, কিছু খেতে পারছেন না? রইল ৫টি অব্যর্থ প্রতিকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest