১৫ জুন ইন্দো-চিনের রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষের তিন সপ্তাহ পর অবশেষে লাদাখের তিন জায়গা থেকে সরতে শুরু করেছে চিনা সেনা। দু’তরফে সেনা এবং কূটনীতিক স্তরে লাগাতার আলোচনার পর চিনের এ দিনের গতিবিধিকে পিছু হঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছে ভারতীয় সেনা।
১৫ জুন ইন্দো-চিনের রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষের তিন সপ্তাহ পর অবশেষে লাদাখের তিন জায়গা থেকে সরতে শুরু করেছে চিনা সেনা। দু’তরফে সেনা এবং কূটনীতিক স্তরে লাগাতার আলোচনার পর চিনের এ দিনের গতিবিধিকে পিছু হঠার ইঙ্গিত বলেই মনে করছে ভারতীয় সেনা। সবটাই অবশ্য সেনা সূত্রে পাওয়া খবর।
আরও পড়ুন : দেশে নয়া করোনা সংক্রমণে ২২২৫২, আক্রান্ত ৭ লাখ ছাড়াল, মৃত আরও ৪৬৭
ভারতীয় সেনাও ফিরে এসেছে পূর্ব অবস্থানে, আর দু’দেশের মধ্যেকার প্রায় ৮০০ মিটার অংশ চিহ্নিত হয়েছে ‘বাফার জোন’ হিসেবে। অর্থাৎ সেখানে কোনও দেশের সেনাই আপাতত টহল দিতে পারবে না।ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ওয়াইয়ের রবিবারের দীর্ঘ দু’ঘণ্টা ফোন কথা বলেন। তাতেই বরফ গলল বলে মনে করা হচ্ছে।
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, ইন্দো-চিন সীমান্তের পশ্চিম অংশে অশান্তি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিস্তারিত ও খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। আর তাতে যত দ্রুত সম্ভব ডিসএনগেজমেন্ট (সেনা প্রত্যাহার) করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফেরানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে দু’পক্ষই।
২০১৭ সালে ডোকলাম ‘স্ট্যান্ড অফ’-এর সময় ডোভালের বিরুদ্ধে অযথা ‘পেশির আস্ফালন’ এবং পরিস্থিতি জটিল করে তোলার অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় তৎকালীন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করের তৎপরতার কারণে সমাধান সূত্রের সন্ধান মিলেছিল বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়। কিন্তু এবার কোনও আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়নি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে।
আরও পড়ুন : বাইরে বৃষ্টি, সুরে অনুপম! শুনে নিন গায়কের নতুন হিন্দি গান ‘অ্যায়সি রাতো মে’…